তাজমহলের কাছে তালাবদ্ধ গাড়ি থেকে অচেতন বৃদ্ধ উদ্ধার, মহারাষ্ট্র পর্যটক পরিবারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ

তাজমহলের কাছে তালাবদ্ধ গাড়ি থেকে অচেতন বৃদ্ধ উদ্ধার, মহারাষ্ট্র পর্যটক পরিবারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


দিল্লি – উত্তরপ্রদেশের আগ্রার তাজমহলের পাশের পার্কিং চত্বরে তালাবদ্ধ একটি গাড়ি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক বৃদ্ধকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করল নিরাপত্তা রক্ষীরা। প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় গাড়ির ভেতরে আটকে থাকার ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। গাড়িটিতে ‘মহারাষ্ট্র পুলিশ’ ও ‘মহারাষ্ট্র সরকার’-এর স্টিকার লাগানো ছিল, এবং গাড়ির ছাদে ছিল পর্যটকদের মালপত্র বাঁধা।

ঘটনার সূত্রপাত তাজমহলের পশ্চিম গেটের পার্কিং এলাকায়। কর্তব্যরত এক নিরাপত্তা রক্ষীর সন্দেহ হয় একটি পার্ক করা গাড়ি দেখে। জানালার ভেতরে উঁকি দিয়ে তিনি দেখেন, এক বৃদ্ধ অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন এবং তাঁর হাত-পা কাপড় দিয়ে বাঁধা। তাৎক্ষণিকভাবে পার্কিং কর্মীদের সহযোগিতায় জানালার কাঁচ ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করার পরও বৃদ্ধ কিছু বলতে বা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছিলেন না। দ্রুত তাঁকে জল দেওয়া হয় এবং এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসকরা জানান তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী পর্যটন গাইড মোহাম্মদ আসলাম বলেন, “দৃশ্যটি ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। বৃদ্ধ একদমই নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল তিনি বহুক্ষণ গরমে জর্জরিত অবস্থায় আটকে ছিলেন।” পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে এমনটা মনে হচ্ছে যে, মহারাষ্ট্র থেকে আগত এক পর্যটক পরিবারই বৃদ্ধকে তালাবদ্ধ অবস্থায় গাড়িতে রেখে তাজমহল ঘুরতে যায়। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও স্টিকার থেকে পরিবারের উৎসস্থল নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।

তাজগঞ্জ থানার ইনচার্জ পরিদর্শক কুনওয়ার সিং বলেন, “এটি নিছক অবহেলার নয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। একজন বৃদ্ধকে এভাবে গরমে আটকে রাখা এবং হাত-পা বেঁধে রাখা একেবারে অমানবিক। আমরা গাড়ির মালিক ও পর্যটক দলের সদস্যদের শনাক্ত করছি এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।”

ঘটনাটি ঘিরে ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন পর্যটন ক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরো পরিবার পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, দোষী প্রমাণিত হলে অবহেলা, অমানবিক আচরণ এবং জীবন বিপন্ন করার ধারায় কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top