নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তলের উপর হেনস্তার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ শুনে পুলিশ ও সিবিআই-কে যৌথভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। কিন্তু হাইকোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় গত ১৪ সেপ্টেম্বর। ফলে আপাতত ওই মামলায় কোনও তদন্ত হচ্ছে না। সেই নির্দেশের ১৪ দিন পর এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ কুন্তল। তাঁর পক্ষের বক্তব্য না শুনেই কেন ওই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলবন্দি অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন:
বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসে আবেদন করেছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা তথা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর আর্জি, সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের যৌথ তদন্তে নিম্ন আদালতের নির্দেশ পুনর্বহাল করতে হবে ও তাঁর পক্ষের বক্তব্য শুনতে হবে।
গত মে মাসে নিম্ন আদালতে বিচারকের ঘরে গিয়ে হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন কুন্তল ঘোষ। তাঁর দাবি ছিল, জেরা করার নামে তাঁকে হেনস্থা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ কথা শুনেই যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআই আদাতলের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও সিবিআই-এর যুগ্ম অধিকর্তাকে তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো তদন্তও শুরু হয়। এরপরই হাইকোর্টে গিয়ে সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় সংস্থার যুক্তি ছিল, যে সময়ে হেনস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন, সেই সময় কোর্টে পেশ করা হলেও এ বিষয়ে কিছু বলেননি কুন্তল। পরে বিচারকরে চেম্বারে গিয়ে তাঁকে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেন কুন্তল। এভাবে ক্যামেরা-হীন একটা ঘরে অভিযুক্তকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিচারক কেন কথা বললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিবিআই। সেই আর্জি শোনার পর নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। হাইকোর্টের সেই নির্দেশেই আপত্তি কুন্তলের।
উল্লেখ্য, নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশ দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। যে মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে, তাতে পুলিশকে কেন যুক্ত করা হল, তা নিয়ে বুধবারই আদালতে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সিবিআই দাবি করেছে, তদন্ত স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ তাদের অফিসারদের হেনস্থা করছে।