তুলাইপাঞ্জি প্রসিদ্ধ মোহিনীগঞ্জের হাটের হাল বেহাল, কমছে বেচাকেনা। উত্তর দিনাজপুর জেলার তুলাইপাঞ্জি ধান ও চালের হাট বলতে সকলেই মোহিনীগঞ্জের হাট প্রসিদ্ধ।সারা রাজ্যের পাইকারি ক্রেতারা এই হাট থেকেই তুলাইপাঞ্জি চাল বা ধান ক্রয় করেন। প্রতি মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কমপক্ষে প্রায় ২ হাজার ব্যবসায়ী হাটে বেচাকেনা করতে আসেন।
কিন্তু হাটের বেহাল পরিকাঠামো ও বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। মোহিনীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মোহিনীগঞ্জের হাটের রাস্তাঘাট বেহাল।সামান্য বৃষ্টি হলে জল জমে যায়।পাশাপাশি হাটের ভেতরে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, হাটের মধ্যে দিন- রাত চলছে মদের নেশা ও জুয়া খেলা। এই হাটে ধান ও চাল সহ সব কিছুই কেনা-বেচা হয়। কিন্তু দিন-দিন হাটের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ায় এখন ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে।
পাশাপাশি আলোর ব্যবস্থা নেই।হাটের দিন জুয়া আর নেশার ঠেকের সংখ্যা এতটাই বেড়ে যায় ক্রেতারা হাটের ভেতরে ঢুকতে ভয় পান। ফলে বেচাকেনা সেভাবে হয় না। রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় সরকার বলেন, মোহিনীগঞ্জ হাট বহু পুরোনো তাই হাটটির পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া উচিত। মোহিনীগঞ্জের গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল বর্মণ বলেন,হাটের রাস্তাঘাট খুবই বেহাল।
আরও পড়ুন – জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন
পঞ্চায়েত থেকে কাজ করাতে পারছি না।ড্রেনের ব্যবস্থাও নেই এবং আলোর ব্যবস্থাও করতে পারিনি। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, হাটের ভেতর মদ ও জুয়ার আসর নিয়মিত বসে। অনেক চেষ্টা করেও বন্ধ করা যায়নি। এদিকে, মোহিনীগঞ্জ হাট পরিচালন কমিটির সদস্য শিব শঙ্কর উপাধ্যায় জানান, হাটের রাস্থাঘাট আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করে দিই। আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে দুই-একটি জায়গায় গর্ত হওয়ায় জল জমে গেছে, বর্ষা থামলে কাজ করা হবে। জুয়া ও নেশা বন্ধের জন্য পুলিশ মাঝেমধ্যে এসে অভিযান চালায়। আমরা নিজেরাও নজরদারি চালাই।