সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যে তৃণমূল অভাবনীয় ফল করলেও আলিপুরদুয়ারের চা বলয়ে জোর ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনের পাঁচটিই হারাতে হয়েছে বিজেপির কাছে।যেখানে ভোটের আগেই চা সুন্দরী আবাসন প্রকল্পের মত যুগান্তকারী প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার ।তার পরেও চা বাগানের ভোট হতাশ করেছে রাজ্যের শাসক দল কে ।তাই সরকার গঠনের পর জেলায় দল কে ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।
জেলার রাশ দেওয়া হয়েছে চা বাগান কর্মী ,স্বছ ভাবমূর্তির আদিবাসী যুব নেতা প্রকাশ চিক বাড়াইক কে।এবং পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে আনা হয়েছে আরেক আদিবাসী নেতা বিনোদ মিনজকে। দায়িত্ব হাতে নিয়েই বিমুখ হয়ে যাওয়া চা বাগানের মানুষ কে কাছে টানতে কোনো কসুর বাকি রাখছেন না প্রকাশ।
নিজে একজন চা বাগান কর্মচারী হওয়ার সুবাদে চা শ্রমিকদের সমস্যা গুলিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন।সেই সমস্যার গভীরতাও তার জানা। তাই প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন চা বাগান পরিদর্শন করে শ্রমিকদের নানান সমস্যা নিয়ে কর্তিপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও বসছেন সমাধানের খোঁজে।
আর ও পড়ুন পিঁপড়ের অত্যন্ত শক্তিশালী দাঁতের পিছনে রহস্য কী? জানুন বিজ্ঞানীদের মত
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আদায়ও করেছেন তিনি। আর আদিবাসী হওয়ার সুবাদে সহজেই মিশে যাচ্ছেন শ্রমিদের মধ্যে। শ্রমিকদের ভাষায় কথা বলে মনে জিতে নিচ্ছেন তাদের। পঞ্চায়েত ভোটের প্রায় দু বছরের কম সময় হাতে, এই সময়ের মধ্যেই প্রকাশ চা বাগানের মানুষ কে কাছে টেনে তৃণমূলমুখী করার কাজ শেষ করতে চাইছেন।
এ ব্যাপারে প্রকাশ চিক বাড়াইক বলেন,”চা বাগানের জন্য ও সাধারণ মানুষের জন্য রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছে তা এক কথায় অভাবনীয়, তার পরেও এগুলোর সঠিক প্রচার মানুষের কাছে আমরা ভালোমত পৌঁছে দিতে পারিনি ,তাই এই ফল। আগামীতে মানুষের কাছে এই প্রকল্প সমূহের সুফল পৌঁছে আমরা তাদের মন জয় অবশ্যই করবো”।