তৃণমূলে যোগ দিল বিজেপি কর্মীরা। বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া প্রাইমারি বুথে তৃণমুল কংগ্রেসের বুথ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই সম্মেলনে এসে বিজেপি দল ছেড়ে সাত জন বিজেপি দলের নেতৃত্ব ও 15 টি পরিবারের প্রায় শতাধিক বিজেপি দলের কর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের সাঁকরাইল ব্লকের সভাপতি কমল কান্ত রাউৎ ও সহ-সভাপতি অনুপ মাহাত এবং রগড়া অঞ্চলের প্রধান পঞ্চানন দাস সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী সকলের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সাঁকরাইল ব্লকের সভাপতি কমলকান্ত রাউৎ বলেন, যতই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি দল ছেড়ে মানুষ দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। যতই বিজেপি নেতারা হুংকার দিক রাজ্য সরকার ডিসেম্বরে পাল্টে যাবে, ততই বিজেপি জঙ্গলমহলে উল্টে যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার পাল্টে যাবে না, বরং উল্টে যাবে বিজেপি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলের বহু এলাকায় বিজেপির ঝান্ডা ধরার লোকও খুঁজে পাবে না। কারণ যারা বাংলার ভালো চায়না ,বাংলার উন্নয়ন চায়না, বাংলার মানুষের ভালো চায়না, তাদের বাংলার মানুষ কোনদিন পছন্দ করে না। তাই বিজেপির প্রতি মানুষের মোহ ভঙ্গ হয়েছে। সেই জন্য বিজেপি দল ছেড়ে দলে দলে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। বাংলার উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন – প্রতিবন্ধী কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে উদ্ধার করলও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলার উন্নয়ন তারা স্তব্ধ করে দিতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের পাশে রয়েছে তা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের প্রমাণ হবে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক নেতা বলেন, আমরা রাজ্য সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। বিজেপি করে আমরা খুব ভুল করেছিলাম। কারণ দলের নেতারা কেবল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে জানেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে জানেন না। সেই জন্য আমরা স্বেচ্ছায় বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।