তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পশু প্রেম নজর কাড়ছে এলাকাবাসীর

তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পশু প্রেম নজর কাড়ছে এলাকাবাসীর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পশু প্রেম নজর কাড়ছে এলাকাবাসীর। ১১ বছর আগে এলাকার বানরদের আলু খাওয়াতে শুরু করেছিলেন এলাকার এক যুবক। একটা দুটো করে বাড়তে-বাড়তে বানরের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। প্রত্যেকদিন নিয়মিত বানরদের আলু খাওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গোগলা এলাকার যুবক গৌতম ঘোষ।

 

আলু খাওয়ানোর পাশাপাশি চলে বানরদের বিস্কুট খাওয়ানো। বানররাও প্রত্যেকদিন সঠিক সময়ে খাবারের লোভে হাজির হয় গোগলা এলাকার মাধাইপুর কোলিয়ারি সংলগ্ন এলাকায়। বর্তমানে সেই যুবক তৃণমূলের গোগলা অঞ্চল সভাপতি।

 

আজও চলছে তার সেই বানরদের খাওয়ানোর রেওয়াজ। সেই শুরু তারপর আর একদিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি বানরদের খাওয়ানোর প্রক্রিয়া। তৃণমূলের গোগলা অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ জানান, দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় বাজনা ও বাজির শব্দে বানরদের দেখা যায়নি। দূর্গাপূজা পার হতেই ফের রবিবার এলাকায় খাবার আশায় জড়ো হল বানরের দল।

আরও পড়ুন – খেলার মাধ্যমে প্রয়াত খেলোয়াড়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

এছাড়া পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় খোলা মুখ খনি তৈরি হওয়ার কারণে চাষযোগ্য জমি নষ্ট হয়েছে। সে কারণেই মাঠে-ঘাটে খাবার না থাকায় বানররা মানুষের সমাজে আসতে শুরু করে। প্রথম-প্রথম দু-একটি বানরকে খাওয়াতেন তিনি, ধীরে-ধীরে খাবারের জন্য প্রচুর বানর আসতে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫টি বানর প্রত্যেকদিন খাবার খেতে মাধাইপুর কোলিয়ারি এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে এসে হাজির হযন। বানরদের খাবার জন্য গৌতমবাবু ব্যবস্থা রাখেন জল, আলু ও বিস্কুটের।

 

নিজের হাতে বানরদের আলু ও বিস্কুট খাওয়ান তিনি। গৌতম বাবুর পাশাপাশি তার দলের কর্মীরা তার সঙ্গে সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন, যতদিন শরীরে ক্ষমতা আর খাওয়ানোর সামর্থ্য রয়েছে, ততদিন তিনি এভাবেই বানরদের খাইয়ে যাবেন। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এই ধরনের পশু প্রেম দেখে অবাক এলাকার বহু মানুষ। কারণ, বর্তমানে এতগুলো বানরের খাবারের পিছনে প্রত্যেক দিন প্রায় কুড়ি কেজি আলু ও ৬ থেকে ৭ প্যাকেট বিস্কুট খরচ হয়। গৌতম বাবু বলেন, এভাবে অসহায় বানরগুলিকে নিজের হাতে খাইয়ে চরম আত্মত্যুষ্টি পান তিনি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top