তৃণমূল বিধায়কের বে আইনী অস্ত্র জমা দেবার অনুরোধ নিয়ে ভিডিও প্রকাশ। মঙ্গলবার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকায় ভোরের দিকে হামিরুদ্দিন সর্দার নামক এক ব্যাক্তির বাড়িতে পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে।চোখের পলকে লাগে আগুন। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছোটে পুলিশ। আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করেন তারা।সূত্রের খবর,বহু খোঁজাখুঁজির পরে পাশের এক মাঠ থেকে উদ্ধার হয় গুরুতর আহত ফারুক সর্দার।জানা গেছে, তিনি এক তৃণমূল কর্মী।তাঁকে প্রথমে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে কলকাতায় স্থানান্তরের আগেই তার মৃত্যু ঘটে।
আর এই ঘটনার পরেই,সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের এক ভিডিও প্রকাশিত হয়।দেখা যায়,সেই ভিডিওতে তিনি হাত জোড় করে বেআইনি অস্ত্র জমা দেওয়ার অনুরোধ করছেন।ভিডিওতে তিনি হাত জোড় করে আবেদন করেন, “বাসন্তীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, বাসন্তী বিধানসভার ১৩-১৪ টি অঞ্চলের সর্বত্র, যেখানে যার যার হাতে বেআইনি অস্ত্র আছে, তা যেন অবিলম্বে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের কাছে দেন। ”
এছাড়াও,তিনি অবৈধ কোনও অস্ত্র মজুত না করার ও আবেদন জানান। এরপর তিনি সাধারণ মানুষকে নিজের হাতে আইন না তুলে নেবার আহ্বান জানান ও সমাজ বিরোধীদের হাতে থাকা অস্ত্র জমা দিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার আহ্বানও তিনি করেন বলে জানা যায়।কিন্তু এরপরই ব্যাপার টি নিয়ে আসরে নামেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তিনি, বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়কের আবেদনকে কটাক্ষ করে টুইট করেন।তিনি বাসন্তীতে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “বিরোধীদের ঠেকাতে তৃণমূল সমাজবিরোধীদের মদত নেয়। ভোটের দিন ভোটারদের মধ্যে ভয় তৈরি করে ভোটদানে বিরত থাকতে বাধ্য করে। প্রশাসন ও সরকার এই হিংসা দমন করতে পারবে না।”
এরপরই তিনি বর্তমান ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবিও তুলেছেন।বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন,” পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশ বিপর্যস্ত। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সেই কারণেই অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক মজুতের ঘটনা বৃদ্ধি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই।”তবে রামপুরহাট গণহত্যার পর বাসন্তীর এই কান্ড যে শাসকদল জোড়াফুলের অস্বস্তি শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।