তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে তীব্র বোমাবাজি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। গতকাল রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চিলাখানা দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ঘোগারকুঠি এলাকায়। এই গোটা ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে সংশ্লিষ্ট গোটা এলাকা জুড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল গভীর রাতে ৮/৬১ নং বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা সামিনা ইয়াসমিন বিবির বাড়িতে তীব্র বোমাবাজি করে বিজেপি আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী।
যেসব বোমা ফাটানো হয়েছিল, সেই বোম গুলির তীব্রতা এতটাই বেশী ছিল যে সিমেন্টের খুঁটি পর্যন্ত ভেঙে যায় সেই বোমা ফাটার কারণে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ এসে প্রথমে সম্পূর্ন বোমাবাজির জায়গাটি পরিদর্শন করে দেখে এবং পরে বোমা গুলোর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এ গোটা ঘটনার বিষয়ে সামিনা ইয়াসমিন বিবি জানান, “গতকাল রাত আনুমানিক প্রায় আটটা নাগাদ কয়েকটা বাইক আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যায়। পরবর্তীতে কিছুক্ষণ বাদে সেই বাইকগুলোর আবার ফিরে এসে আমাদের বাড়ির সামনে তীব্র আওয়াজ করতে থাকে।
এবং আমার বাড়ির গ্রিলের দরজা পর্যন্ত জোরে জোরে ঝাকানো হয়। আমি তখন ভয় পেয়ে গিয়ে দ্রুত দরজা তালা লাগিয়ে দিই। তারপর সেই বাইক বাহিনী তখন এর জন্য চলে যায়। কিন্তু, পরবর্তীতে রাত প্রায় আনুমানিক দেড়টা নাগাদ আমার বাড়িতে তীব্র বোমাবাজি করা হয়। আমরা উঠে দেখি আমাদের বাড়ি থেকে প্রচন্ড ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আমরা পুলিশকে খবর দিলে পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি দেখে যায় এবং বোমার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। যারা আমার বাড়িতে এই বোমাবাজি করেছে তারা অন্য কেউ নয়, তারা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতি। এবং আমি এটাও জানি যে এদের মূল লক্ষ্য হলো এরা পঞ্চায়েত কে শান্তিতে থাকতে দেবে না এবং কোনো কাজ করতে দেবে না।”
আর ও পড়ুন ইটভাটার ধোঁয়া থেকে মার খাচ্ছে মালদহে আমের ফলন
কোচবিহার জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ গোটা ঘটনার বিষয়ে তীব্র নিন্দা করে জানান, “বিরোধীরা আমাদের ভয় দেখিয়ে চুপ করে রাখতে পারবে না। আমরা আমাদের উন্নয়নের হাতিয়ার করেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করবো। আমাদের পঞ্চায়েতের বাড়িতে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটানো হয়েছে সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শুধুমাত্র বিজেপি পারে এই ধরনের হিংসার রাজনীতি করতে। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিজেপিকে এর সঠিক জবাব দেবে ভোটের বাক্সে। এরকম নোংরা রাজনীতি করতে থাকলে আস্তে আস্তে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।” এই গোটা ঘটনার বিষয়ে তুফানগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।