তৃতীয়বার সাতপাকে ‘মেম বউ’! কে এই বিনীতার বর, কেন বারবার বিয়ে? উঠে এল চমকপ্রদ কাহিনি

তৃতীয়বার সাতপাকে ‘মেম বউ’! কে এই বিনীতার বর, কেন বারবার বিয়ে? উঠে এল চমকপ্রদ কাহিনি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিনোদন- একসময় বেশ জনপ্রিয় সিরিয়াল ছিল ‘মেম বউ’। ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল এই সিরিয়াল। ব্লন্ড চুল, আর আধো আধো বাংলা বলা বিদেশিনি তখন ঘরে ঘরে পরিচিতি পেয়েছিলেন। সিরিয়াল শুরু হওয়ার আগেই ভাইরাল হয় তাঁর কথা বলার ধরন। সেই বিনীতা চট্টোপাধ্যায় মেম বউ শেষ হওয়ার পর গায়েব হয়ে যান। এতবছর পর আবারও তাঁকে নিয়ে চর্চা হওয়ার কারণ বিয়ে করেছেন ‘মেম বউ’ তথা বিনীতা চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বৃন্দাবনে ধর্মীয় স্থানে বিয়ে করেছেন বিনীতা। পাত্র বদ্রীনাথ বিশাল। তবে বিয়ের পরই রটে যায় বিনীতা নাকি তিনবার বিয়ে করেছেন। যার জেরে লাগাতার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। বিপাকে পড়ে বিনীতা জানিয়েছেন যে আলাদা ব্যক্তি নয়, একই পাত্রের সঙ্গে দুবার গাঁটছড়া বেঁধেছেন।

বিনীতা ও বিশালের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। গঙ্গাবক্ষে গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে রাধা-কষ্ণের মন্দিরে বিয়ে সবটাই ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজের বিয়ে নিয়ে বিনীতা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে প্রথমবার কেদারনাথ ট্রিপে গিয়ে গৌরীকুণ্ডের নীচে সোনপ্রয়াগের এক মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। আর এর পিছনে রয়েছে এক দারুণ কাহিনী। বিনীতা একটা সিরিয়ালের পরই সাংবাদিকতার পেশায় চলে যান। সেখানকারই মুখ্য আধিকারিক বদ্রীনাথ বিশাল। বিনীতা জানান যে তাঁকে পছন্দ করতেন বিশাল কিন্তু সেটা কখনও বিনীতাকে জানাননি। এরপর ২০২২ সালে ঘুরতে বিনীতা ও বিশাল অন্য সহকর্মীদের নিয়ে কেদারনাথ ট্রিপে যান।

ফেরার পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সকলে ছন্নছাড়া। এক দল কেদারনাথ থেকে বেরিয়ে যেতে পেরেছিলেন। আটকে গেলেন বিশাল-বিনীতা! কোনও মতে তাঁরা গৌরীকুণ্ডের নীচে সোনপ্রয়াগে পৌঁছলেন। বৃষ্টি সেই সময় থেমেছে। গাইডকে সঙ্গী করে সেখানকার এক স্থানীয় মন্দিরে পৌঁছন উভয়ে। গাইড জানান, এই মন্দিরে সারা আলি খান-সুশান্ত সিংহ রাজপুত ‘কেদারনাথ’ ছবির শুটিং করেছিলেন। তাঁরা যখন ওই মন্দিরকে পটভূমিকায় রেখে ব্লগ করতে ব্যস্ত তখনই মন্দিরের পুরোহিত জানান, ওই মন্দিরে নারায়ণ বা বিষ্ণু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিবাহ দিয়েছিলেন হর-গৌরীর। সেই বিয়ের পবিত্র যজ্ঞের আগুন পুরাকাল থেকে আজও জ্বলছে। সেখানে পুজোপাঠের পর হঠাৎ করে পুরোহিত জানান, বিশাল-বিনীতা ঈশ্বরের নির্দেশেই একত্রে এই পবিত্র স্থানে। তাঁরা কি বিয়ে করতে চান? বিনীতা ও বিশাল সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান। ওই মন্দিরেই তাঁদের প্রথম ধর্মীয় বিয়ে হয়।

দ্বিতীয়বার বিয়ে হয় কিছুদিন আগেই বৃন্দাবনের লোটাস মন্দিরে। দেবকীনন্দন ঠাকুরের বিখ্যাত রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে। এ বারেও পুরোহিতের নির্দেশে এখানে তাঁদের কণ্ঠীবদল হয়। তার আগে গায়ে হলুদ হয় যমুনা তীরে কেশি ঘাটে। সকালে কণ্ঠীবদল, সন্ধ্যায় বৈদিক বিয়ে। আসলে দুই পরিবারের কুল পুরোহিত বলেছিলেন যে ২৩ মে কৃষ্ণ-একাদশীর দিন বিয়ে করলে, তা কোনওদিনই ভাঙবে না। পুরোহিতের নির্দেশেই তাঁরা এইদিন দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর তৃতীয় বিয়ে? জানা গিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বরে বিড়লা মন্দিরে সামাজিক বিয়ের আয়োজন করা হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top