নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর ২৪ পরগনা ,১লা আগস্ট :তৃনমূল দলের কর্মী ও বিরোধীরা সকলেই চাপে রয়েছেন “দিদিকে বলো” নিয়ে।রাজ্যের লোকয়ুক্ত আছে ঠিকই, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন চাইছেন তখন তাতে মানুষ সাড়া দিয়েছে।বারাসত বিশেষ আদালতে সারদা মামলায় হাজিরা দিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃনমূল নেতা মদন মিত্র। তিনি বলেন,”দিদিকে বলো”-র মধ্যে দিয়ে অনেক মানুষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগও তুলে ধরতে পারছেন।এটা তো ভালো দিক।সাধারন মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারনেই কি “দিদিকে বলো” কর্মসূচি গ্রহণ করতে হচ্ছে তৃধমূলকে?এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে মদন মিত্র বলেন,”জনসংযোগ নিবিড় ও সম্পর্ক স্থাপন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।সাধারন মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে তো প্রতিটি জেলাতেই আলাদা সেল রয়েছে? তাহলে নতুন করে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি কেন তৃনমূলকে গ্রহণ করতে হচ্ছে? এর উত্তর তিনি বলেন,”আগে থাকলেও সেটা যদি বিস্তৃত আকারে হয়, তাতে ক্ষতি কি! এটা তো ভালো দিক।কাটমানি ইশুতে মদন মিত্র বলেন,”কাটমানির কথা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বলতে পেরেছেন!এর মাধ্যমে দল আরও সতর্ক হতে পারবে।চাপে থাকবে তৃনমূলের নেতা ও কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী বলার পর অনেক জায়গায় তো মানুষ টাকাও ফিরে পাচ্ছেন!মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙিয়ে রাখছেন।রাজ্যে লোকয়ুক্ত থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি বক্তব্য মানুষ ভালোভাবে নিয়েছে।সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে তাতে!”দিদিকে বলো” কর্মসূচী বাস্তবায়িত করতে আপনি কি ভাটপাড়া বিধানসভায় যাবেন?কারন তৃনমূল জেলা নেতৃত্ব যে সব বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছে,তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছে!কি বলবেন এবিষয়ে? এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে মদন মিত্র বলেন,”আমাকে এখনও কেউ জানায়নি।তবে,দল যা দায়িত্ব দেবে,তা আমি পালন করব”।ভাটপাড়ার শান্তি ফেরানোর আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন,”রাজনীতি যাই থাকুক,ভাটপাড়ায় শান্তি ফিরে আসুক,এটাই আমি চাই”। বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন,”আমি বিজেপিতে যাবনা।আমি কোনও স্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধি নই।দলেও কোনও পদে নেই।তবুও আমি মানুষের কাজ করে যাব। সাম্প্রদায়িক বিজেপিতে আমার কোনও আগ্রহ নেই”।জয় শ্রী রাম ধ্বনি বলার মধ্যে দিয়ে মানুষকে আঘাত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।সারদা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র আদালতের কাছে বিদেশ সফরে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন। সেই মামলায় শুনানিতে মদন মিত্রের আইনজীবী আদালতকে বলেন, উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাঙালিদের একটি দূর্গা পূজোয় তাঁর মক্কেল আমন্ত্রিত হয়েছেন।তাই, তাকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।এর আগেও নেপাল থেকে ঘুরে এসেছেন তিনি,আদালতের অনুমতি নিয়ে।এরপররই, সিবিআইয়ের আপত্তি জানানো হয় এই আবেদনের। সিবিআইয়ের আশঙ্কা,মদন মিত্রের মতো প্রভাবশালীকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিলে, তিনি ফিরে নাও আসতে পারেন।সব শোনার পর আদালত এবিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশ দেননি।
তৃনমূল দলের কর্মী ও বিরোধীরা সকলেই চাপে রয়েছেন “দিদিকে বলো” নিয়ে
তৃনমূল দলের কর্মী ও বিরোধীরা সকলেই চাপে রয়েছেন “দিদিকে বলো” নিয়ে
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram