তৃনা সাহার এবারের পুজো । পুজোর সময়ে অনেক কাজ থাকে। আগে থেকে কিছুই ঠিক করে রাখতে পারি না। এ বারের পুজোয় যেমন বেশ কয়েকটা অনুষ্ঠান রয়েছে। আমার আর নীলের একসঙ্গে শো আছে। পুজোর উদ্বোধন, কলকাতার বাইরে শো- সব কিছু মিলিয়ে এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি দু’জনে একান্তে কতটা সময় কাটাতে পারব! তবে হ্যাঁ, যত টুকু সময় পাব, চুটিয়ে মজা করব। এই সময়টায় ডায়েট চার্টের ছুটি। চার দিন জমিয়ে খাব। তবে এখন আর ছোটবেলার মতো পুজোর ভিড়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা হয়ে ওঠে না।
তারকা হওয়ার এটা একটা বড় অসুবিধে। তবে সুবিধেও আছে কিন্তু। কোনও পুজোয় গেলে লাইন দিতে হয় না! ফাঁকায় ফাঁকায় দিব্যি ঠাকুর দেখতে পারি। মণ্ডপে ঢোকার আগে শুধু খানকতক সেলফি তুলতে হয়! তবে ছেলে বেলা এই রকম ছিল না। ছেলে বেলায় পুজো আসছে, নতুন জামাকাপড় কিনতে হবে- এই ভাবনা থেকেই পুজো শুরু হয়ে যেত আমাদের। তার পরে বেশ কয়েকটা দিন জমিয়ে কেনাকাটা। যৌথ পরিবারে বাড়ির বড়দের সঙ্গে সবাই মিলে হইচই করে নিউ মার্কেটে পুজোর কেনাকাটা, রেস্তরাঁয় খাওয়া।
আরও পড়ুন – ট্যাবলেটে দুর্গা মুর্তি বানিয়ে জাতীয়স্তরে পুরস্কৃত হল বীরভূমের প্রসেনজিৎ
চারদিনে দু’বেলা দুটো করে আটটা জামা চাই-ই চাই। সালোয়ার কামিজ আমার পছন্দের পোশাক। আটটা নতুন জামার মধ্যে সালোয়ার-কামিজ থাকতেই হবে। ভাই-বোনেরা একই রকম জামা কিনতাম আমরা। একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরোলে সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকত। ওই চার দিন এক্কেবারে স্বাধীন! রাত দশটায় বাড়ি ফিরলেও বকুনি খাওয়ার ভয় ছিল না। এখন অবশ্য পুজোর মজাটা অন্য রকম। নীলের সঙ্গে বিয়ের পরে এখন আর প্ল্যান করে কিছু হয় না। তৃনা সাহার