শান্তিপুরে পথচলতি তৃষ্ণার্তদের জল বিতরণের উদ্দেশ্যে বহুরূপী জীবন্ত মডেল শিল্পীরা পথের পাশে চালু করলেন জলছত্র। গরমের প্রখর রোদে রীতিমতো ক্লান্ত পথচলতি সাধারণ মানুষেরা। কিন্তু জীবন-জীবিকার টানে তাদের যে রাস্তায় বেরোতেই হবে। সেই কারণে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তার পাশে জল বিতরণ করতে দেখা যেতো প্রায়শই।
তবে বর্তমান সমাজে ইঁদুর দৌড়ে সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর সংখ্যা কমে গেছে অনেকটাই। আর তাই গতবছরের মতো এবছরও নদীয়ার শান্তিপুরে মা মনসা জীবন্ত মডেল গ্রুপের পক্ষ থেকে বৈশাখ পড়তেই একমাস ধরে পথচলতি দের তৃষ্ণামেটানোর দায়িত্ব নিতে দেখা গেল। এ প্রসঙ্গে সংগঠনের কর্ণধার প্রশান্ত প্রামাণিক জানান, শান্তিপুরে এধরনের 15টি জীবন্ত মডেল গ্রুপ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
প্রায় 200 জন এ ধরনের কলাকুশলী তারা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করছে এই জলছত্র আয়োজনে। এর পাশাপাশি তিনি জানান, হাসপাতাল সামনে থাকার কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পথচারীর জন্য এই স্থান বেছে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বহুরূপী জীবন্ত মডেল গ্রুপের সদস্য রাজেশ ব্যানার্জি জানান, কর্মের সুবাদে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত হন, সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হন রক্তদান তৃষ্ণার্তদের জল দানের মতো বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্বপূরণে। বিগত করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পোশাকে এবং মুখোশে সুসজ্জিত হয়ে জনসাধারণকে কখনো মজা কখনোবা ভয় দেখিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বার্তা দিয়েছিলেন।
তবে জলছত্রর ব্যাপারে স্থানীয় বাইগাছি এবং জোড়া খালি বটতলার এলাকাবাসী বৃন্দ অত্যন্ত সহযোগিতা করছে। শনিবার এই কর্মসূচির প্রথম দিন উপলক্ষে লাড্ডু এবং মাটির কলসিতে রাখা ঠান্ডা বিশুদ্ধ পানীয় জল দিয়ে চলেছেন কাগজের গ্লাসে, প্লাস্টিক বর্জন করেছে তারাও। তবে অর্থাভাবে আগামীতে লাড্ডু না দিতে পারলেও জলের সাথে থাকবে গুড় বাতাসা।