চন্দননগরের তেঁতুলতলার জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস। হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলার পুজো অত্যন্ত বিখ্যাত শুধু নয়, এই পুজো ‘জাগ্রত’ বলে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। প্রতিবছর এখানে মায়ের পুজো দেখতে বিরাট সংখ্যায় ভক্ত সমাগম হয়। দুর্গা ঠাকুরের বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার আকাশ বাতাসে নেমে আসে বিশাদের সুর। কিন্তু শারদীয়ার গমনকালে নদিয়ার কৃষ্ণগরের পাশপাশি হুগলির চন্দননগরেও মিশে থাকে হৈমন্তিকার আগমনের আনন্দ।
এক মা চলে যান তাঁর শ্বশুরবাড়ি, আর আরেক মাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি শুরু করে দেন হুগলীর মানকুণ্ডু-ভদ্রেশ্বর -চন্দননগরের বাসিন্দারা। বিশালতা, রোশনাই, চাকচিক্যের সঙ্গে দেবীর স্নিগ্ধ রূপ, এই সবের মিশেলেই হুগলির চন্দননগরে সাড়ম্বরে পালিত হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। তেঁতুলতলার পুজোতে প্রতিদিন মা জগদ্ধাত্রীকে বেনারসীর পরিহিত রূপে পুজো করা হয়।
মূল পুজোটি হয় নবমীর দিন। সেইদিন পাঁঠাবলি প্রদানও এখানের প্রচলিত নিয়ম। গৌরহাটি তেঁতুলতলার পুজোতে দশমীর বিসর্জনের দিন ,পুরুষরাই সমস্ত প্রয়োজনীয় ‘আচার’ অনুষ্ঠান করে থাকেন। কথিত রয়েছে, এখানে মা জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ রয়েছে যে, তাঁর পুজো কেবল পুরুষরাই করতে পারবেন। সেই নির্দেশ মতোই এই নিয়ম প্রচলিত হয়েছে বলে লোক মুখে শোনা যায়।
আর ও পড়ুন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ, ১৫ নভেম্বর হতে পারে বৈঠক
আর সেই চিরকালীন প্রথা মেনে এবারেও চন্দননগরের তেঁতুলতলা সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির মা-কে বরণ করলেন পুরুষরা। যুগ যুগ ধরে এখানে পুরুষরাই শাড়ি পড়ে মা-কে বরণ করেন।
এই পুজোর বয়স ২২৯ বছর। এই বিষয়ে পুজো কমিটির প্রধান উপদেষ্টা তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর শ্রীকান্ত মণ্ডল জানান, দেশ স্বাধীনের অনেক আগে এই পুজো যখন শুরু হয়েছিল তখন ইংরেজদের ভয়ে সন্ধ্যার পর বাড়ির মা বোনেরা বাইরে বেরোতেন না। তাই মা-কে বরণ করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন পুরুষরা। সেই রীতিই আজও চলে আসছে।
উল্লেখ্য, চন্দননগরের তেঁতুলতলার জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস। হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলার পুজো অত্যন্ত বিখ্যাত শুধু নয়, এই পুজো ‘জাগ্রত’ বলে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। প্রতিবছর এখানে মায়ের পুজো দেখতে বিরাট সংখ্যায় ভক্ত সমাগম হয়। দুর্গা ঠাকুরের বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার আকাশ বাতাসে নেমে আসে বিশাদের সুর। কিন্তু শারদীয়ার গমনকালে নদিয়ার কৃষ্ণগরের পাশপাশি হুগলির চন্দননগরেও মিশে থাকে হৈমন্তিকার আগমনের আনন্দ।