তেইশটি জেলার কর্তৃত্ব ভাগ, কারা দায়িত্বে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য কমিটি সম্প্রতী রাজ্যের প্রতিটি জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করেছেন। হাতে গোণা আর কয়েকমাস মাস বাকি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে।প্রকাশিত হয়েছে আসন পুর্নবিন্যাসের খসড়া তালিকা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠন কে ঢেলে সাজাতে আসরে নামলো রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। জেলা সভাপতির পাশাপাশি তৈরি হল এক নতুন পদ। এই পদকে বলা হয়েছে “অথরিটি”। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘কর্তৃত্ব’। আর এই নতুন অথরিটি পদ পেলেন বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি আবদূর রহিম বক্সী।
তিনি মালদা জেলার ‘কর্তৃত্ব’ পেলেন সুসংগঠক, আগাপাছতলা খাঁটি রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও জনপ্রিয় নেতা আবদূর রহিম বক্সী।তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও রহিম বক্সীর উপরেই আস্থা রাখলেন। বামপন্থী দল আর এস পি ছেড়ে তৃণমূল দলে যোগদান করে দিদির মন্ত্রে দিক্ষীত হন। তিনি দিদি মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নকে ‘পাখীরচোখ’ করে জেলার উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরু থেকেই এই জেলার একজন অন্যতম সংগঠক হিসাবে আত্ম প্রকাশ করেন। ২০২১ তৃণমূল দলের হয়ে মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েই মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।
আজ তার ফল আবারও পেলেন।এবারও মুখ্যমন্ত্রী তাকে জেলা সংগঠনের দায়িত্ব দিলেন। তার জনসংযোগ তাকে মানুষের পরমবন্ধু করেছে। দিনরাত জনসেবায় সক্রিয় মানুষটিকে অপামর গ্রামবাসী ভাল বাসেন। তিনি মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করেছেন বলেই আজ জেলার পূর্ণ দায়িত্ব লাভ করছেন। শুধু তিনি নন। তেইশটি জেলায় বিভিন্ন নেতারা কর্তৃত্ব পেয়েছেন। তৃণমূল ভবনে সোমবার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বসে তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব বন্টন করেছেন। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ২৩টি জেলার জন্য এই দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন দক্ষ সংগঠকদের মধ্যে। এই পদকে বলা হয়েছ “অথরিটি” বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘কর্তৃত্ব’।
আরও পড়ুন – বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরোধিতা করলেন অভিনেতা মীর
একেক জেলায় একেক জনকে এই কর্তৃত্ব প্রদান করেছেন।যেমন কোচবিহারের দায়িত্ব পেলেন উদয়ন গুহ, আলিপুর দুয়ার- প্রকাশ চিক বরাইক। জলপাইগুড়ি- মহুয়া গোপ, দার্জিলিং -পাপিয়া ঘোষ। কালিম্পং- এল বি রাই। উত্তর দিনাজপুর কানাইলাল আগরওয়াল। দক্ষিণ দিনাজপুরে মৃনাল সরকার। মালদা আব্দুর রহিম বক্সী। মুর্শিদাবাদ খলিলুর রহমান। নদীয়ায় মহুয়া মৈত্র। কলকাতা দেবাশীষ কুমার।
উত্তর চব্বিশ পরগণা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা অরূপ বিশ্বাস।হাওড়া অরূপ রায়। হুগলি স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। পূর্ব মেদিনীপুর সৌমেন মহাপাত্র। পশ্চিম মেদিনীপুর অজিত মাইতি। ঝাড়গ্রাম দুলাল মুর্মু। বাঁকুড়া সায়ন্তিকা। পূর্ব বর্ধমান রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী। পশ্চিম বর্ধমান মলয় ঘটক।বীরভূম অভিজিত সিংহ ওরফে রানা। আগেই বলা হয়েছে যে মালদার দায়িত্ব পেয়েছেন আব্দুর রহিম বক্সী।