তোড়জোর শুরু লক্ষ্মীপুজোর। দেবী দুর্গা কৈলাসে পাড়ি দেওয়ার পরই রীতি মেনে পূর্ণিমাতে হয় লক্ষ্মীপুজো। দশমী বা বিজয়ার পর্ব মিটতে না মিটতেই লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে। ইতিমধ্যেই পুরোদমে তোড়জোর বাঙালির লক্ষ্মীপুজোর। গত দু’বছর করোনা অতিমারীর জেরে সমস্ত আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে লক্ষ্মী পুজোতেও বাধ সেধেছিল করোনা।
দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মীপুজো বাঙালির ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত হয়। একাদশী থেকেই শুরু হয় লক্ষ্মী পুজোর ব্যস্ততা। জেলার বেশকিছু গ্রামে দুর্গাপুজো মতোই জাঁকজমকপূর্ণ লক্ষ্মীপুজো হয়। জাঁকজমক লক্ষ্মীপুজো কে আকর্ষণীয় করতে পুজোমণ্ডপ সেজে ওঠে। দু’বছর করোনা আবহে সেভাবে মণ্ডপসজ্জা এবং উৎসাহ চোখে পড়েনি। এবার দুর্গাপুজোর মতোই সর্বত্রই ছন্দে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লক্ষ্মীপুজো।
আরও পড়ুন – আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রতিমা ভাসানে বাড়লো শব্দবাজির দাপট
ইতিমধ্যেই লক্ষ্মী প্রতিমা, মাটির সরঞ্জাম, মনোহরি দ্রব্য, পুজোর সরঞ্জাম বিভিন্ন দোকানে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ঝাড়গ্রাম শহরের জুবিলি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘গত দু’বছর বাজার ছিল একেবারেই তলানিতে। তবে, এবছর বিজয় দশমীর পরদিন থেকেই ছন্দে বেচাকেনা। এবারে ভালো ব্যবসা হবে এমনটাই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আর, সেই আশাতেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন বাজারে ব্যাবসায়ীরা। ঝাড়গ্রাম জেলার বাছুরডোবা নতুনদিঘি, রহড়া এলাকায় মৃৎশিল্পীরা কিছুটা হলেও হাসিমুখে রয়েছেন। বড় মূর্তির পাশাপাশি ছাচের তৈরি লক্ষ্মী মূর্তিরও এবারে চাহিদা রয়েছে যথেষ্টই। ঝাড়গ্রাম জেলার এক মৃত শিল্পী সৌগত বেরা জানান, ‘গত দু’বছর ভীষণ সমস্যায় ছিলাম। চলতি বছরে দুর্গাপূজার খরিদ্দারের ভিড় লেগেছে লক্ষ্মী প্রতিমা কেনার জন্যেও। তাই তারা আশা করছেন দূর্গা পূজার জাঁকজমকের পরই লক্ষ্মী পুজোতেও সেই রেস থেকে যাবে’। তোড়জোর শুরু