এবার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী । “আমার শাড়িতে কালি লাগাতে এলে কীভাবে মোবিল ঢালতে হয় আমি জানি।”- ঠিক এই ভাবেই নবান্নে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্র তথা বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন,”দেশের অর্থনীতির সর্বনাশ হচ্ছে৷ কিন্তু সেদিকে নজর না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সবকিছু নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে, মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে৷” এমনকি তিনি এও অভিযোগ জানান যে, মিথ্যে ভিডিও ভাইরাল করে তাঁকে নাকি ” কালিমালিপ্ত ” করার চেষ্টাও করছে বিজেপি ৷
এছাড়াও, এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে উঠে এসেছে রামপুরহাট সহ রাজ্যের সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় কথা। কারণ,এই ঘটনাগুলি নিয়ে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা তুলে ধরে প্রতিবাদে বিজেপি সহ বিরোধীরা৷ এমনকী দিল্লিতেও রাজ্য বিজেপি-র নেতারা কয়লা পাচার, গরু পাচারের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে বার বার রাজ্যের দিকেই আঙুল তুলে দরবার করেছে।এদিন সেসব নিয়ে বিজেপি কে তুলোধনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেশের অর্থনীতি শেষ হচ্ছে আর এরা ঘরে বসে চক্রান্ত করছে৷ সব বিরোধী রাজ্যের একজোট হওয়া উচিত৷ বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়৷ আর সেসব দেখে কিছু না ভেবে মানুষ উন্মাদের মতো নাচানাচি করছে৷
আর ও পড়ুন ব্যারাকপুর কমিশনারেট এর গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় গ্রেফতার এক দুস্কৃতী
অনেক মিথ্যে জিনিস ভাইরাল হচ্ছে যাতে সমাজের, দেশের ক্ষতি হয়৷ অথচ সেটা সত্যি না মিথ্যে কেউ ভেবে দেখছে না সবসময় চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাড়িতে কালি ছেটানো যায়৷ আমার শাড়িতে কালি ঢালা হলে কীভাবে মোবিল ঢালতে হয় আমি জানি৷ রং না খেলা সত্ত্বেও৷”এরপর রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি, দেন এবং বলেন,”কাউকে মেরে মৃতদেহ নবান্ন অভিযন করব, এসব করতে বারণ করুন৷ বিজেপি আপনারা বোকা আর সিপিএম দিচ্ছে আপনাদের ধোকা৷”এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ” মধ্যপ্রদেশ থেকে গরু আসছে৷ উত্তর প্রদেশ থেকে কয়লার গাড়ি আসছে৷ যাচ্ছে আমাদের রাজ্যের উপর দিয়ে৷
উৎসটা অন্য রাজ্যে, সেটা তো আমাদের হাতে নেই৷ ইডি, সিবিআই, বিএসএফও আমাদের হাতে নেই৷ ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া দুমকায় আমাদের এসটিএফ একটি অস্ত্র কারখানার খোঁজ পেয়েছে৷”
এরপরই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,” গত ১৩ দিনে ১১ বার পেট্রোল- ডিজেলের দাম বেড়েছে৷ দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসের৷ দেশের অর্থনীতির অবস্থাও খারাপ।” সব শেষে মুখ্যমন্ত্রীর দাবী, “অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সব দলকে নিয়ে আলোচনায় বসা৷ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতেই বিভিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে বিজেপি৷”