ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্পষ্ট বিজেপির অন্দরের দলীয় ফাটল! রবিবার শপথ গ্রহণের পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত হলেন ডা. মানিক সাহা। আর এই শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানেই স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠল বিজেপির অন্দরের দলীয় ফাটল। শপথগ্রহণে এলেনই না উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল-সহ বিধায়কদের একাংশ। সূত্রের খবর,যদিও শপথগ্রহণের পর রাজভবনে গিয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। বিধানসভা ভোটের ১০ মাস আগে এই ফাটল নিঃসন্দেহে বিজেপি নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিপ্লব দেব।তিনি জানিয়েছিলেন, দলের প্রয়োজনে সংগঠনে ফিরছেন। এর পরই এক দ্রুত পরিষদীয় বৈঠকে কার্যত ‘একতরফা ভাবে’ মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দন্ত চিকিত্সক মানিক সাহার নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তার পর থেকেই ত্রিপুরা বিজেপিতে ফাটল দৃশ্যমান।
এদিকে,বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, “বিপ্লব দেবের একনায়কতন্ত্রে অতিষ্ঠ ছিলেন বিধায়ক এবং দলীয় কর্মীদের একাংশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছিলেন বিক্ষুব্ধদের অনেকেই। ক্ষোভে দলত্যাগ করেছিলেন কেউ কেউ।” আর এখানেই অভিযোগ আরো দৃঢ় যে এমন পরিস্থিতিতে বিপ্লব পদ ছাড়ার পর আবার তাঁরই ঘনিষ্ঠ মানিককে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর সিদ্ধান্ত পছন্দ নয় বিক্ষুব্ধদের।
আর ও পড়ুন কালো মেঘে ঢাকা উত্তরবঙ্গের আকাশ
এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ত্রিপুরার বিজেপির সভাপতি মানিক সাহা আদি কংগ্রেসি। তিনি ২০১৬ সাল নাগাদ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসেন। দলবদলের ৬ বছরের মধ্যে আদি বিজেপিদের সাইডলাইন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর বসে পড়া মেনে নিতে পারছেন না বহু দলীয় বিধায়ক। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না অনেকে।
আবার এই একই সময়ে অ অর্থাৎ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলাকালীন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মনের টুইটার হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে বাদ পড়ে উপমুখ্যমন্ত্রী শব্দটি এবং সেখানে শুধুমাত্র লেখা থাকে বিধায়ক।এই নিয়ে, ওয়াকিবহাল মহলের মত,”কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে বড়সড় ভাঙন ঘটতে পারে ত্রিপুরার বিজেপিতে। যার সুফল পাবে তৃণমূল কিংবা কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা।”