থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত খুশি নন্দী হারিয়ে যাচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত খুশি নন্দী যেন বাবা-মায়ের কাছ থেকে আসতে আসতে হারিয়ে যাচ্ছে । বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ব্লকের দ্বারিকা গ্রামে হতভাগ্য রাজকুমার নন্দী ও ভাগ্যহীনা ঝুনু নন্দীর থ্যালেসেমিয়া রোগে আক্রান্ত মেয়ে খুশি নন্দী যার বর্তমান বয়স ১২ বছর।
৬ মাস বয়স থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী।
রাজকুমার নন্দীর আছে বলতে এক দু বিঘা জমি।কোন মতে সংসার চলে যায়। এমতাবস্থায় দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মেয়ের চিকিৎসার জন্য নিজের বলে যেটুকু ছিল সবই গেছে একে একে, এখন সম্পূর্ণ অর্থেই নিঃস্ব, তবুও এক বুক আশা নিয়ে ছুটে চলেছেন মেয়েকে নিয়ে এই ডাক্তার সেই ডাক্তারের কাছে । এমনকি অন্যান্য রাজ্যেও ছুটেছেন চিকিৎসার জন্য।
আর ও পড়ুন সুন্দরবনে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার
বর্তমানে চেন্নাই অ্যাপোলো ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাবা স্বপ্ন দেখেন একদিন না একদিন মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠে গলা জড়িয়ে ধরে বলবে এইতো বাবা আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। অসহায় পরিবার তবুও সেই দিনটার জন্যই দাঁতে দাঁত চেপে চালিয়ে যাচ্ছেন লড়াই।
এখনো পর্যন্ত অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে ছুটেছেন বহু ডাক্তারের কাছে, খরচও করেছেন যেটুকু পুঁজি ছিল সব চলে গেছে। দিন যতই যায় ততই তিলে তিলে ক্ষয়ে যায় অসুস্থ খুশি নন্দীর শরীর। মেয়ের দিকে তাকিয়ে বাবা মার চোখে ঝরে যায় অনন্ত জলের ধারা। তাকে পরম সুস্থতার তাঁরা চান আর সকলের মতোই তাদের কন্যা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে হাসিতে খুশিতে ভরিয়ে তুলুক ঘর, চেষ্টা তাই জারি আছে নুন আনতে পান্তা শেষ হয়ে যাবার মতো পরিস্থিতি সম্পন্ন পরিবারে।
কিন্তু সংসার যে অচল, কোথা থেকে আসবে অর্থ!ডাক্তারবাবু বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব Bone Marrow Transplant করতে হবে।এর খরঢ ২৫ লক্ষ টাকা।এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব এই পরিবারের। এখন অর্থের অভাবে নিজেদের চোখের সামনে তিলে তিলে মেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আর এটা দেখেই বুক ভেঙে যাচ্ছে বাবা-মার ।বাবা মায়ের আবেদন সরকারের কাছে একটু পাশে দাঁড়ান আমার হতভাগ্য কন্যার পাশে। আসুন না আমরা ও ছোট্ট খুশির পাশে দাঁড়ায়।