রাজ্য -দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে অগ্রসর হয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে আসছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই অবস্থায় রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বর্ষার বৃষ্টি চলবে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি জেলায় সতর্কতাও জারি হয়েছে।
পশ্চিম রাজস্থান ও পাকিস্তানের উপর একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে, সেখান থেকেই মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়ে লখনউ, পটনা, বাঁকুড়া, দিঘা হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত পৌঁছেছে। উত্তর বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশাতেও রয়েছে একটি অক্ষরেখা। এর ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তরোত্তর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ জুলাই বঙ্গোপসাগরের উপর ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যার প্রভাবে ২৩ জুলাই থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে।
রবিবার, ২০ জুলাই কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার দক্ষিণের প্রায় সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও প্রতিটি অঞ্চলে নয়। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ফের বাড়বে। ওইদিন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় সতর্কতা আরও জোরালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই বৃষ্টি আরও তীব্র হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে—এর জন্য জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
শুক্রবার হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও পুরুলিয়াতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তাল সমুদ্রের কারণে ২৪ জুলাই থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেই শনিবার পর্যন্ত বজায় থাকবে ঝড়বৃষ্টি। সোমবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
