রাজ্য – বুধবারের সকাল শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝেঁপে বৃষ্টি দিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘের আড়াল সরিয়ে দেখা মিলেছে রোদের। রোদ-বৃষ্টির এই খেলার জেরে দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে বাংলার উপর সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অবস্থান করছে। তবে এই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরছে, যার ফলে আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি। আকাশ থাকবে মেঘলা, হতে পারে একাধিকবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়, যেমন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আগামী সাত দিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলবে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এর ফলে জলাবদ্ধতা ও জনজীবনের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে বলে আশাবাদী হাওয়া অফিস।
সমুদ্রও ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে, ফলে মৎস্যজীবীদের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে কিছু গ্রাম জলমগ্ন। বৃষ্টি কমে রোদ উঠলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় — দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও উত্তর দিনাজপুরে আগামী কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার ও রবিবার আরও কয়েকটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কা থাকায় হাওয়া অফিস পর্যটকদের জন্য আগাম সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে।
