দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুর স্টেশনে ৬০টি নতুন টিকিট কাউন্টার! অনেক স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। কোথাও থাকে দীর্ঘ লাইন। এদিকে ট্রেন ধরার তাড়াও থাকে। কিন্তু ভিড়ের কারণে অনেক যাত্রীকে টিকিট না কেটে উঠে পড়তে হয় ট্রেনে। আর ধরা পড়লে দিতে হয় জরিমানা। ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের। এই বার এই ভোগান্তি ও সমস্যা মেটাতে এগিয়ে এল দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশন।খড়্গপুর ডিভিশনের আওতাধীন এলাকার ৬০ টি স্টেশনে করা হবে নতুন টিকিট কাউন্টার।
যে সমস্ত স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি সেইগুলিকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ৬০টি স্টেশনে করা হবে ৬৪টি নতুন কাউন্টার। তবে এগুলি হবে ‘আউট সোরসিং’। অর্থাৎ, সেগুলি রেলের নিজস্ব নয়। যদিও এইগুলির নিয়ন্ত্রণ থাকবে রেলের হাতেই। খড়গপুর ডিভিশনের রেলের সিনিয়ার ডিসিএম জানান, যাদের এই রকম কাউন্টার করার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে তাঁদের ওই এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনের ভিত্তিতে রেল তাঁদের কাউন্টার করার অনুমতি দেবে। তবে, রেলের যা ভাড়া সেই টাকাই নিতে হবে তাঁদের। রেলের নিয়ম মেনেই চালাতে হবে ওই কাউন্টারগুলি।
আরও পড়ুন – মাধ্যমিকে পাস করার উপহার হিসেবে, বাবার মোবাইল কিনে দিতে দেরি, আত্মঘাতী হলো মেয়ে
তিনি জানান, এর ফলে রেলের টিকিট কাউন্টারে যাদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হত তাঁদের আর ভোগান্তি সহ্য করতে হবে না। যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কোন কিছুই বেসরকারি করা হচ্ছে না, তারা কাউন্টার করার জন্য ‘আউট সোর্সিং’ করছেন। এর ফলে কিছু যুবক কাজ পাবেন। কিন্তু তাঁদের রেলের নিয়ম মেনেই টিকিট কাউন্টার চালাতে হবে। কারণ সেগুলির নিয়ন্ত্রণ থাকবে রেলের হাতেই। যদিও রেলের এই নিয়মের বিরোধিতা করছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, এই মাধ্যমে রেলের টিকিট কাউন্টার ‘বেসরকারিকরণ’ করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ টিকিটের ও রিজার্ভেশন টিকিটের দাম বৃদ্ধি পাবে।