দলীয় প্রধানকে অপসারণ করতে হুইপ জারি ব্লক সভাপতির। প্রধানের বিপক্ষে ভোট দিতে নির্দেশ দলীয় সদস্যদের। চাঁচল ১ নং ব্লকের মতিহার পুর নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ঘিরে ফের প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের ফাটল। হুইপ জারির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মালদহ জেলার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী। কেউ এই ধরনের হুইপ জারি করতে পারেন না। প্রমাণ হলেই ব্যবস্থা নেবে দল হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূল সভাপতি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মতিহার পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ টি আসুনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সাতটি , কংগ্রেস আটটি ও সিপিএম চারটি আসন দখল করে। কংগ্রেসের চারজন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেস থেকে আসা পপি দাস। সম্প্রতি প্রধানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা রাখেন দলের সদস্যদের একাংশ,পাশাপাশি কংগ্রেস এবং সিপিএমের সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন।
মঙ্গলবার ছিল সেই অনাস্থার তলবি সভা। তবে তলবি সভার এক দিন আগে তৃণমূল সদস্যদের হুইপ জারি করেন চাঁচোল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী। প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আর ও পড়ুন এক গ্রাম্য বধুর প্রচেষ্টায় ডায়মন্ডহারবারে প্রতিষ্ঠিত হলো “স্বপ্ন পুস্তক” গ্রন্থালয়
মতিহার পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অপসারিত তৃণমূল প্রধান পপি দাস বলেন, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগগুলো আনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। হুইপ জারির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য হায়াতুল ইসলাম। তিনি বলেন দলের নির্দেশ আছে তাই প্রধানের বিপক্ষে ভোট দিয়েছি।
চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী ও নির্দেশ জারি করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন , ওই প্রধান কে নিয়ে বারংবার সমস্যা হচ্ছিল তাই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। প্রধানকে বহুবার বোঝানো হলেও প্রধান পঞ্চায়েত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে ঠিকাদারদের নিয়ে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন।
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, প্রধানের অপসারণের কথা শুনেছি। কে কেন এই হুইপ জারি করল বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দল এই ধরনের জিনিস বরদাশ্ত করে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।