“দল করতে হলে দল করুন,ঠিকাদারি নয়” এমনই বার্তা দিয়েছিলেন সর্ব ভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।আর তার সেই বার্তা কে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঠিকাদারদের নিয়ে ব্লক ও অঞ্চল কমিটি গঠন করেছেন মালদহের চাঁচলের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। বিধায়কের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে নিয়ে এলেন মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলাম।আর এনিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।গোটা ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল।
বিধানসভা নির্বাচনে মালদার চাঁচল আসন থেকে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থী নিহার রঞ্জন ঘোষ।এরপর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলামের সাথে বিরোধ শুরু হয় বিধায়কের।পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাক্কালে সেই বিরোধ আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলামের অভিযোগ, ভাড়া বাড়িতে থেকে কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন নিহার রঞ্জন ঘোষ।স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছেন তিনি।
গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না পুরনো কর্মীদের।এমনকি অঞ্চল এবং ব্লক কমিটি গঠনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না জেলা পরিষদ সদস্যকে। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আমরা দলকে তৈরি করেছি আর উনি পরিযায়ী বিধায়ক অন্যদের দিয়ে ফসল কাটিয়ে নিয়ে যাবে এটা মেনে নেব না। জেলা সভাপতিকে লিখিতভাবে জানিয়েছি, এই বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।পাল্টা জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ।
আরও পড়ুন – অভিষেকের জন্মদিনে বাড়ির সামনে উপচে পড়া ভীড়, হাসি মুখে মেটালেন অনুগামীদের আবদার
তিনি বলেন বিধানসভা নির্বাচনে যারা বিরোধীদের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট করেছিল। তাদের মুখে এই ধরনের কথা শোভা পায় না। এখনো অঞ্চল ব্লক কমিটি গঠন হয়নি।এই ধরনের কথা বলে দলকে বিপদে ফেলা ও দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি বিধায়ক ছিলাম না তখন আটটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র দুটো গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল তৃণমূল।আসলে মানুষ থেকে এরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন তাই এই ধরনের কথা বলছেন।
শাসক দলের এই অন্তর্ককলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে কেউ কেউ টিকিট পাবে কিনা সন্দেহ আছে। আবার কে কাকে টিকিট দেবে সেই বিষয়টিও আছে। আর এই নিয়ে এদের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকট হয়েছে।কারণ পঞ্চায়েত ছাড়া এরা বাঁচতে পারবে না।যদিও এই বিষয়ে এখনও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।