দশমীর রাতে নাকাশীপাড়ায় মৃত সুকুমার সাঁতারাকে ‘শব্দ শহীদ’ হিসেবে ঘোষণার আরজি। দশমীর রাতে বিসর্জনের সময় মোবাইল থেকে গান বাজানো বন্ধ করার অভিযোগে বেধড়ক মারধর করা হয় সুকুমার সাঁতরা নামে নাকাশীপাড়ার এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটে বিলকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আরবেতাই হিন্দুপাড়া যুবসঙ্ঘ দুর্গাপুজো কমিটির দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে। তার পরিবারের উপরেও চড়াও হয় এই ক্লাবের সদস্যরা বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় তার স্ত্রীকেও।
পরে বেথুয়াডহরি হসপিটালে ভর্তি করা হয় সুকুমার সাঁতরাকে এবং সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় পরিবার নাকাশীপাড়া থানায় অভিযোগ জানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। তদন্ত নেমে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ সেই রাতেই গ্রেফতার করে সঞ্জিত সাঁতরা নামে এক ব্যক্তিকে। পরে রাজু সাঁতরা ও গোস্ঠ সাঁতরাকে আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এখনো দুই অভিযুক্ত পলাতক।
আরও পড়ুন – কালী পূজার প্রতিমা বানাতে জোর ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে
সুকুমার সাঁতরাকে ‘শব্দশহীদ’ হিসেবে ঘোষণা করার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। তাঁকে শব্দশহিদ ঘোষণা করে পরিবারটিকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে আর্জি জানিয়েছে ‘পরিবেশ আকাদেমি’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ওই গ্রামে আগেও পুজোয় অশান্তির ইতিহাস আছে। শুক্রবার পুজো কমিটির সম্পাদক অরুণ মণ্ডল বলেন, “মোবাইল নিয়ে বচসা বাধার সময়ে আমরা সকলে ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে ওরা সুকুমারের বাড়ির সামনে ওকে মারধর করে বলে শুনেছি।।” দিনমজুর সুকুমারের বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল। বছর পাঁচেকের একটি ছেলে আছে। এখন সংসার কী ভাবে চলবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন পরিবারের লোকজন। সুকমারেরা তিন ভাই তারাও দিনমজুরের কাজ করেন। ক্ষতিপূরণের ৫ লক্ষ টাকা পেলে সংসারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে বলে জানিয়েছেন মৃতার স্ত্রী মিতা সাঁতরা।