দাবির নতুন নৌকা নিয়ে দুয়ারে সরকার শিবিরে পৌঁছলেন জেলা শাসক। গত মে মাসে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে গ্রামে গিয়েছিলেন জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।তখনই গ্রামের মানুষ সমবেত ভাবে জেলা শাসকের কাছে একটি নৌকা আবদার করে।কেননা তাদের খুব সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।ব্লক সদরে পৌঁছতে হয় ৩৭কিমি পথ অতিক্রম করে।সব অভিযোগ শুনে ওই দিন জেলা শাসক তাঁদের আশ্বস্ত করেন সে আবদার পূরনের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,তার পরেই জেলা শাসক একটি সংস্থাকে একটি নৌকা বানানোর বরাত দেন।এবার ফের সেই গ্রামে দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে নতুন নৌকা নিয়ে হাজির জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা,ব্লক আধিকারিক মিহির সরকার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।এনিয়ে সবাই বেশ উচ্ছ্বসিত।
গ্রামের অশতিপর বৃদ্ধা উসমান আলী,কামরান আলী,এন্তাজ হোসেন বলেন,ছোট বেলা থেকেই আমরা এভাবেই দিন যাপন করছি।বিগত বাম জামানা থেকে আমাদের দাবী ছিলো আমাদের তিন গ্রামের জন্য একটি নৌকা ব্যাবস্থা করে দেবার।কিন্তু ৩৪ বছরেও একটি নৌকা তৈরি করে দিতে পারেনি ওরা।আমরা এই সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা বলেন আমাদের কিছুটা সময় লাগলো।কিন্তু সমস্যার সমাধান হওয়াতে গ্রামের মানুষ খুব খুশি।ওদের মুখে হাসি দেখে আমরা আনন্দিত।
উল্লেখ্য,তিনটি গ্রাম। যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।জায়গাটার পরিচয় মুসলিম পাড়া নামে।বাম জমানার দীর্ঘ ৩৪ বছর টানা বঞ্চিত ছিলো এই তিন গ্রামের দুহাজার মানুষ।তবে সমস্যা সমাধানের আশায় ওরা ভোট দিয়ে গেছে নিরন্তর।আখেরে লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
আরও পড়ুন – কয়লা পাচার ও বেআইনিভাবে মজুতের অভিযোগে বীরভূমে গ্রেফতার ৬
তিন গ্রামের অবস্থান আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকে।এই তিনগ্রামের দুরত্ব ব্লকের সদর শহর বারোবিশা থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার।আর ব্লক সদরের দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার।ব্লক সদর থেকে এই তিন গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সংকোশ নদী।আর তাই এই তিন গ্রামের মানুষদের ব্লক সদর কিংবা ব্লক অফিসে পৌঁছাতে হয় পার্শ্ববর্তী জেলা কোচবিহার হয়ে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।।তাই দুয়ারে সরকার শিবিরে জেলা
শাসককে অনুরোধ করায় তারা নতুন নৌকা পেল।