দিনহাটা দুঃসাহসির ডাকাতি। দিনহাটার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক চুরির ঘটনার পর এবার দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স কে বেঁধে রেখে দুঃসাহসির ডাকাতির ঘটনা ঘটলো। দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের সীমান্ত গ্রাম শালমারা বাজারে সোমবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সোনার দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে থাকা সিন্দুক খুলে সেখান থেকে সোনা ও রূপার গয়না ছাড়া নগদ বেশ কিছু টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পায়েল 2 লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দুষ্কৃতীরা এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এর আগেও দিনহাটার গিতালদহ, সাহেবগঞ্জ এলাকায় একইভাবে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার এখনো কিনারা সেভাবে না হলে আবারো সারমারা বাজারে একইভাবে সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে।কর্তব্যরত দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স কে বেঁধে রেখে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীর। মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকেও ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাছে বাজারগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – প্রতিবন্ধী কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে উদ্ধার করলও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, এদিন রাত আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালমারা বাজারে অনন্ত সরকার নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট বাজারে প্রতিদিন রাতে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশের দুজন সিভিক পুলিশ কর্মী মোতায়ন থাকে। অভিযোগ সেই দুই কর্তব্যরত সিভিক পুলিশ কর্মীকে হাত মুখ বেঁধে রেখে দুষ্কৃতীরা সোনার দোকানে সাটার ভেঙে সিন্দুক খুলে নগদ ২৫ হাজার টাকা সহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার সোনা ও রুপার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ত্রিদিব সরকার, সাহেবগঞ্জ থানার ওসি অ্যান্টনি হোড় নেতৃত্বে পুলিশ। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।