দুই দিনাজপুর নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় অডিটোরিয়াম হলে উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুরের প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। মুলত, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা স্পিনিং মিলে টেক্সটাইল পার্ক তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুরে তাঁতশিল্পীরা রয়েছেন। এতে তাদের যেমন রোজগারের ব্যবস্থা হবে, ঠিক তার পাশাপাশি রাজ্যের ছোট ছোট পড়ুয়াদের জন্য যে পোষাক তৈরিতে বাইরে থেকে কাপড় আনতে হচ্ছে তাও এরাজ্যেই প্রস্তুত হলে যোগান সম্ভব হবে। এছাড়াও অনেক কর্মসংস্থান হবে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে দক্ষিন দিনাজপুরের ঐতিহ্য আত্রেয়ী নদীতে বাংলাদেশের বাধ তৈরি হওয়ায় জল সেচের সমস্যা হতে পারে। সে কারনে আজকের বৈঠকে শিলান্যাস করা আত্রেয়ীর নতুন জলাধার বাধের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে এলাকার কৃষকেরা যথেষ্টই উপকৃত হবেন বলে উল্লেখ করেন মমতা। আর এদিনের সভায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে স্টূডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ঋন দেওয়া এবং সেইসঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মধ্যে থেকেই ইন্টার্ণ নিয়োগের নির্দেশ ও এনিয়ে টার্স্কফোর্স গঠনেরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর ও পড়ুন পাহাড় মমতার সঙ্গেই থাকবে, জানালেন বিমল গুরুং
সেইসঙ্গে সীমান্তবর্তী এই দুই জেলায় বিএসএফের অনধিকার প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিন দিনাজপুরে বিএসএফ পুলিশকে না জানিয়েই ঢুকে যায়৷ আইসিরাও অনেক সময় ভাবেন যে ওদের ছেড়ে দিই।
পুলিশকে বলছি, বাইরের লোক ঢোকা লক্ষ রাখবেন।” জেলাগুলোতে বিএসএফ এর গতিবিধি নিয়ে বিভিন্ন থানার আই,সি ও বি,ডি,ও কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সমস্ত এলাকার আইন শৃঙ্খলা রাজ্য পুলিশের আওতাধীন। এই এলাকায় বি,এস,এফ কাজ করলেও লোকাল থানার অনুমতি নিয়ে কাজ করতে হবে বি,এস,এফ কে সেই কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।