দিব্যাঙ্গদের জন্য বিশেষ দুয়ারে সরকার শিবির। দিব্যাঙ্গদের জন্য বিশেষ দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করল রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন।এদিন রায়গঞ্জের ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সহয়তায় বিশেষ দুয়ারে সরকার শিবির ক্যাম্প হয়। ব্লক প্রসাশন সূত্রে জানা গিয়েছে,৩রা ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালন হলেও, এবছর সরকারি নির্দেশে ১২ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। সোমবার ছিল এবারের সেই কর্মসূচীর শেষ দিন। এদিন রায়গঞ্জ কর্ণজোড়া হাইস্কুলের মাঠে বসে রায়গঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের দিব্যাঙ্গদের এই শিবির।
শিবিরে আসা দিব্যাঙ্গদের দাবি, বারংবার বিডিও অফিসে প্রতিবন্ধী ভাতা, লক্ষীর ভান্ডার, কিষান বন্ধু, তপশিলি জাতি ও উপজাতির সার্টিফিকেটের মত কাজের আবেদন করা হলেও কাজ হয়নি। এদিন তাই বিডিও অফিসের ডাকে আবারও এসেছি। দেখি এবার কাজ হয় কি না। ৯ নম্বর গৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের অরূপ কুমার রায় বলেন, আমাদেরকে তো সকলেই অবহেলা করে ছেড়ে দেয়। আমাদের ভাতা বা কার্ডের সুযোগ সুবিধা পেতে অসুবিধা হয়। তাই আবারও ফর্ম ফিল আপ করছি। দেখি এবার কাজ হয় কি না। তবে সরকার থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়ায় ভীষণ ভালো লাগছে। ৩ নম্বর শেরপুর অঞ্চলের বিষ্ণু চন্দ্র দাস বলেন, অনেকদিন হয়ে গেলো, ভাতা পাচ্ছি না।
তাই আবার ভাতার জন্য কাগজ জমা দিচ্ছি। সরকার আমাদের জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেখে ভালো লাগছে। এলেঙ্গিয়া গ্রামের আদল হোসেন এসেছেন প্রতিবন্ধী কার্ড করতে। তিনি বলেন, আগেও কার্ডের জন্য আবেদন করেও কার্ড পাইনি। আশা করছি, এবার প্রতিবন্ধী কার্ড পাব। রহমতপুর গ্রামের লাভলি খাতুন এসেছে কিষান বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা নিতে। তিনি বলেন, এর আগে দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন করেও সরকারি সুবিধা জোটেনি। এদিন লক্ষীর ভান্ডার ও কিষান বন্ধুর আবেদন করছি, স্যারেরা চাইলে ভাতা গুলো পাব।
এতদিন কি তাহলে দূর দূরান্তে থাকা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সাধারণ মানুষের ভাতা, কার্ড কিছুই হয়নি। প্রশ্ন ওঠে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও এমন প্রশ্নকে উড়িয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত দাস বলেন, এর আগেও সরকারি নির্দেশিকা মেনে প্রতিবন্ধী ভাই বোনেদের ভাতা, কার্ড সহ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কিছু সংখ্যায় ছাড়া পরে গিয়েছিল, এদিন তাদের কাজ গুলো হচ্ছে। এদিন কর্ণজোড়া স্কুল মাঠে প্রতিবন্ধীদের ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছিলেন অন্যান্য প্রতিবন্ধী ভাই বোনেরা।
তাদের মনে রূপসেনা খাতুন ও মুকলেসা বেগম বলেন, আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। তাই কিভাবে ফর্ম পূরণ করতে হয়, সেটা জানি। তাই আমার মত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের যেন পিছিয়ে পড়তে না হয়, তাই ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছি। এদিন এই বিশেষ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসনের পক্ষে বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক অভীক সামন্ত, বাপ্পাদিত্য ঘোষ, সুভাষ কুমার আর্য, ও ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত দাস সহ একাধিক আধিকারিকেরা।