নিউ দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর, রবিবার ভোরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মৃত্যু হল প্রায় ৪৩ জন কারিগরের। কাকভোরে সারা দিল্লিবাসী অঘোরে ঘুম দিচ্ছিল যখন, হঠাৎ ৫ টার সময় ঘটে এরূপ কান্ড, যা সকলের চোখের ঘুম কেড়ে নিল। এক কারখানায় আগুন লেগে ঘুমন্ত অবস্থাতেই মারা যায় প্রায় ৪৩ জন শ্রমিক, জখম হন ৫০-এরও বেশি মানুষ। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পাশের দুটো বিল্ডিং-এও আগুন ছড়িয়ে যায়।ঘটনাস্থলে আসে ৩২ টি দমকল। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেই পুলিশ অনুমান করছেন।
লেলিহান আগুনের শিখা উপেক্ষা করেই তাতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন দমকলকর্মী। সোজা ঢুকে পড়েছিলেন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা কারখানার ভিতরে। তেমনই এক দমকলকর্মীর দুর্দম সাহস ও প্রচেষ্টার জেরে প্রাণ বেঁচেছে ১১ জনের। বেঁচে ফায়ার আসা মানুষের পরিবারের লোকেদের কাছে সেই কর্মীই এখন ভগবান।দিল্লির সেই দমকলকর্মীর নাম রাজেশ শুক্লা। বিপদের সময় তাঁর এরূপ কর্তব্য পালনের দ্বারা মানবিকতার নজির গড়লেন তিনি।কারিগরদের বাঁচাতে গিয়ে তিনিও যোগ্য হন কিছুটা। পায়ে আঘাত লেগে তিনি বর্তমানে এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘দমকলকর্মী রাজেশ শুক্লা প্রকৃত নায়ক। আগুনের স্থলে প্রথম দমকলকর্মী হিসেবে তিনি প্রবেশ করেন। তিনি ১১টা প্রাণ বাঁচিয়েছেন। হাড়ে আঘাত লাগা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর কাজ করে গিয়েছেন। সাহসী এই নায়ককে কুর্নিশ।’