দিল্লী – পুরীর অগ্নিদগ্ধ ১৫ বছরের কিশোরী দিল্লির এইমসে ১৪ দিনের লড়াইয়ের পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। গত ১৯ জুলাই ভাগর্বা নদীর তীরে তিন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পিপলি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে দেহের প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লি এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
কিশোরীর মৃত্যুর পর ওড়িশা পুলিশের রিপোর্টে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। পুলিশের দাবি, তদন্তে এই ঘটনায় অন্য কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। তবে কীভাবে কিশোরীর গায়ে আগুন লাগল, তা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি।
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে কিশোরীর মা প্রাথমিক এফআইআর-এ জানিয়েছিলেন, তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রথমে তদন্ত শুরু হয়েছিল।
কিশোরীর মৃত্যুর পর পুলিশের এই নতুন রিপোর্টে প্রশ্ন উঠছে। মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয়রা ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
