দীঘা সমুদ্র পাড়ের হোটেল রেস্তোরাঁ’য় আচমকাই খাদ্য দফতরের হানা ! গত ১ বছরে দিঘায় সামূদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ পর্যটকের। যার মধ্যে গত দু’মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। এই খবরে রীতিমতো উদ্বিগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। শুধুমাত্র এলার্জির জন্যই এই মর্মান্তিক ঘটনা নাকি খাওয়ারের গুণগত মানও এর জন্য দায়ী কিনা তা জানতেই এবার ময়দানে নামল খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা।
বুধবার সকালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দিঘার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে অভিযান চালাল খাদ্য দফতরের আধিকারীকেরা। এদিন দিঘার প্রতিটি স্টলে গিয়ে খাওয়ারের মান পরীক্ষা করেন তাঁরা। ডিপ ফ্রিজে রাখা সামগ্রীর গুনগত মানও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। খাদ্য দফতরের এমন ঝটিতি অভিযানে স্বভাবতই থরহরি কম্পমান এখানকার ব্যবসায়ীরাও।
আর ও পড়ুন মুকুল রায়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ মধ্যমগ্রামে
এদিন নন্দীগ্ৰাম স্বাস্থ্য জেলা ফুড সেফটি অফিসাররা দীঘা সৈকতে থাকা প্রতিটি হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে অভিযান চালান। সেইসঙ্গে খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। রামনগর ১ ব্লকের ফুড সেফটি অফিসার মনিকা সরকার জানান, “রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল পরিমানে পর্যটক ভিড় জমান দিঘায়।
তাঁদের সুরক্ষার দিকটি খতিয়ে দেখতেই খাদ্য দফতর অভিযান শুরু করেছে”। প্রসঙ্গত গত ২১ নভেম্বরে দিঘায় বেড়াতে এসে সামূদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেহালার বাসিন্দা সৌম্যদ্বীপ শিকদার-এর। এর এক মাসের ব্যবধানে গত ২৪ ডিসেম্বর একই ভাবে সামূদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বীরভূমের রামপুর হাটের বাসিন্দা ঋত্বিকা ভকৎ (১৮)। এই ঘটনার পরেই দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার সন্দীপ বাগ পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, গত এক বছরে কাঁকড়া খেয়ে ৪ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই স্থানীয় প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।
উল্লেখ্য, দীঘা সমুদ্র পাড়ের হোটেল রেস্তোরাঁ’য় আচমকাই খাদ্য দফতরের হানা ! গত ১ বছরে দিঘায় সামূদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ পর্যটকের। যার মধ্যে গত দু’মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। এই খবরে রীতিমতো উদ্বিগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। শুধুমাত্র এলার্জির জন্যই এই মর্মান্তিক ঘটনা নাকি খাওয়ারের গুণগত মানও এর জন্য দায়ী কিনা তা জানতেই এবার ময়দানে নামল খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা।
বুধবার সকালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দিঘার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে অভিযান চালাল খাদ্য দফতরের আধিকারীকেরা। এদিন দিঘার প্রতিটি স্টলে গিয়ে খাওয়ারের মান পরীক্ষা করেন তাঁরা। ডিপ ফ্রিজে রাখা সামগ্রীর গুনগত মানও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। খাদ্য দফতরের এমন ঝটিতি অভিযানে স্বভাবতই থরহরি কম্পমান এখানকার ব্যবসায়ীরাও।