পূর্ব মেদিনীপুর -সন্ধ্যায় এলে মনে হবে এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জগতে চলে এসেছি। আলো শব্দের খেলা, সাথে ফোয়ারা। মন্দিরের ঘন্টার ধ্বনি। দিঘা মেরিন ড্রাইভের পাশে মা নায়কালী মন্দিরে এলে আপনার মন জয় করবেই। দীঘা মেরিন ড্রাইভের রাস্তায় শংকরপুর এর আগেই গড়ে উঠেছে মা নায়কালি। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে নতুন শয্যায় গড়ে উঠছে এই মন্দির। ২৮ শে এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর রয়েছে দীঘা জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের জন্য। তার আগে চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। অসাধারণ রংবেরঙের আলোর রোশনাই মেরিন ড্রাইভের রাস্তা থেকে অসাধারণ লাগবে।মায়ের নাম নায়কালী। মনে হচ্ছে কেন এই ধরণের নাম ? ৩০০বছরের প্রাচীন এই মন্দিরকে ঘিরে নানা লোককথা ও বিশ্বাস ঘোরাফেরা করে।বলা হয়, আসলে, দেবী যখন এখানে আর্বিভূত হন,তখন এলাকাটা জঙ্গল ছিল। এত গভীর জঙ্গল ছিল যে সূর্যের আলোও প্রবেশ করতে পারত না। বাঘ-ভল্লুক সহ ভয়ঙ্কর প্রাণীরা জঙ্গলে আসত।অরণ্য অঞ্চল ভয়ে ঢাকা থাকত।সেসময় একটি তেঁতুলগাছের কোঠর থেকে মায়ের আর্বিভাব হয়।
মন্দিরের সেবাইত-রা সেই কোঠর থেকে মাকে দেখতে পায়।তারপর সেবাইতরা একচালা ঘরে শুরু করেন পুজো। এরপর সেই মায়ের কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে জাগ্রত দেবীর পুজো চালু হয়। শুভ-কামনা করে মহাড়ম্বরে পরে মন্দিরে পুজোপাঠ চালু হয়েছে।এখন এই জাগ্রত দেবীর পুজোর জন্য কালীপুজোর আগে পূর্ণ প্রস্তুতি চলছে।৩০০বছরের পুজো দেখতে লোকারণ্য হয়। দেশ-বিদেশের পর্যটন কেন্দ্রে থ্রিডি প্রজোকশন ম্যাপিং রয়েছে।এখানেও সেই প্রদর্শনী চালু হচ্ছে।আশা করা হচ্ছে কালী তীর্থকে কেন্দ্র করেই দর্শনার্থী থেকে পর্যটক সবার সমাগমে এই মন্দির ও সংলগ্ন এলাকার অর্থনীতিও উজ্বীবিত হবে।
শংকরপুরের মা নায়কালী কে ঘিরে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
