রাজ্য – সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি। অন্ধকার কাটিয়ে কালী আরাধনায় মেতে উঠতে প্রস্তুত রাজ্য। ইতিমধ্যেই বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশিকা জারি হয়েছে, এবং নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এবার উৎসবের প্রস্তুতির মাঝেই নিউটাউনের অগ্নি নির্বাপন দফরে বৈঠক সারেন মন্ত্রী সুজিত বসু।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ১৬৬টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। উৎসবের মরশুমে ৫১টি অতিরিক্ত ফায়ার স্টেশনও কার্যকর করা হবে। কালীপুজোর পাশাপাশি ছট পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় যাতে কোথাও অগ্নিসংযোগজনিত দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আগামী সোমবার রাজ্য জুড়ে কালী বন্দনা অনুষ্ঠিত হবে। তার আগের রাত, অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর থেকে রাস্তায় নামবে দমকল বাহিনী। চলবে অতিরিক্ত নজরদারি ও অগ্নিনির্বাপন টহল। অতিরিক্ত ফায়ার স্টেশন ছাড়াও, দমকল কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মোটরসাইকেল থাকবে যাতে দ্রুত দুর্ঘটনার স্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
কালীপুজোর পরেই ছটপুজোর অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষেও নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। ঘাটে ঘাটে এবং ক্যাম্প এলাকায় থাকবে দমকলের বিশেষ টিম। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এই উদ্যোগে উৎসবের আনন্দ বজায় রেখে জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখতে চেষ্টার কথা প্রশাসন জানিয়েছে।
