দীপাবলীর রাতে শব্দ দূষণের আশঙ্কায় ভুগছে শহরবাসী। বিপুল পরিমান শব্দ বাজি বাজেয়াপ্ত হলেও শব্দদূষণের আশঙ্কায় ভুগছেন শহরবাসী। পুলিশি অভিযান আরও কড়াকড়ি হতে হবে বলে দাবি পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের। গত মহালয়ার দিন ভোর রাত থেকে যেভাবে শব্দবাজি পুরেছে গোটা শিলিগুড়ি শহর জুড়ে পুলিশের তৎপরতার আবেদন পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানে প্রচুর নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। তবে এখনও শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজারের পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে চলছে নিষিদ্ধ শব্দ বাজির রমরমা ব্যবসা। তাতেই দীপাবলির রাতে শব্দ বাজির আওয়াজে শব্দ দূষণের আশঙ্কায় ভুগছেন শহরবাসী।
গত এক সপ্তাহ আগে সুপ্রিমকোর্ট গোটা দেশজুড়ে এই শব্দবাজি নিষিদ্ধ করেছে। শুধুমাত্র ব্যবহার করা যাবে গ্রীনটেক ক্রেকার্স। এ গ্রিন ট্র্যাকারসের প্যাকেটে একটি টিউবার কোড দেওয়া থাকবে। এই কোডটি স্ক্যান করলে পরে বাজি তৈরির কোম্পানি সহ কি কি সামগ্রী ওই বাজি তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে সমস্ত কিছু দেখা যাবে।
আরও পড়ুন – নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলে সিভিক ভলেন্টিয়ার
দীপাবলি আলোর উৎসব হোক তবে আতঙ্কের নয়, এই বার্তা নিয়ে শহরবাসীকে সচেতন করতে পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ন্যাফের তরফে আগামী ২০ অক্টোবর শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এই পদযাত্রায় পা মেলাবেন শিলিগুড়ির বিশিষ্টজনেরা চিকিৎসক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা।
এ বিষয়ে ন্যাফের প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, এই নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে শুধু পুলিশের অভিযান পর্যাপ্ত নয়। সচেতন হতে হবে সাধারণ মানুষদেরও। শহরবাসীকে বর্জন করতে হবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। ব্যবহার করতে হবে গ্রীন ক্রেকার্স। তবে পুলিশের শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান ধারাবাহিকভাবে যাতে চলে। শহরবাসীকে গ্রীন ক্র্যাকার্স ব্যবহার করার আবেদন জানিয়েছেন অনিমেষ বাবু। দীপাবলীর রাতে