নিজস্ব সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর, ২৩ নভেম্বর, লরিতে দিনের পর দিন দুমড়ে-মুচড়ে রাখার কারণেযত্ন ও খাবার অভাবে মারা গেল এক উট। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত্রে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহার হয়ে বাংলাদেশ পাচার হওয়ার আগেই ১৯টি উটকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ট্রাকভর্তি ১৯ টি উট ট্রাকের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে অবস্থায় রাখা ছিল। গতকাল সন্ধ্যার সময় উট গুলিকে ট্রাক থেকে নামানো হলেও ভোরের সময় এক উট মারা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে উট গুলিকে জল ও গাছের পাতা খাওয়ানো এবং যত্ন করে আসছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশসহ সিভিক ভলান্টিয়ারা। অসুস্থতা বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হয়ত উটটি মারা গেছে এমনটাই মনে করছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
এনজিও টিমের রেনু শর্মা জানান, “এতদিন ধরে লরির মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে রাখার কারণে উট গুলি অসুস্থ হয়ে পড়েছে, সেই কারনেই উনিশটি উটের মধ্যে একটি উট মারা যায়, আমাদের এনজিও থেকে টিম হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় চলে এসেছে, আমরা শীঘ্রই সেই উটগুলো রাজস্থান নিয়ে যাব”|
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহার হয়ে বাংলাদেশ পাচার হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ কুশিদার মারাডাঙি এলাকা থেকে ১৯টি উটকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। উটগুলিকে খাওয়ানোর কোন অভাব ছিল না। এক জায়গায় দুমড়ে-মুচড়ে রাখার কারণে হয়ত একটি উট অসুস্থ হয়ে পরে বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হয়তো উটটি মারা গেছে। বিশেষ এক এনজিওর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং খুব দ্রুত আইন মোতাবেক তাদের হাতে তুলে দিয়ে রাজস্থানে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।