দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা ব্যারাকপুর ঘোষপাড়া রোডের, নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তর 24 পরগনার ব্যারাকপুর মহাকুমার প্রাণকেন্দ্র বারাকপুর। আর এই ব্যারাকপুর শহরেরই একটি রাস্তা ব্যারাকপুর ঘোষপাড়া রোড। যে রাস্তাটি একদিকে বিটি রোডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে আরেক দিকে সোজা চলে গেছে কাঁচরাপাড়া আর একদিক বারাসাত যাওয়ার রাস্তা। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে 15 নম্বর রেলগেট অর্থাৎ লালকুঠি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা।
একদিন নয় দুই দিন নয় এক বছর নয় দুবছর নয় প্রায় তিন-চার বছর ধরে বেহাল দশা এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার। তার ওপরে বর্ষাকাল আসতে চলেছে। তার আগেই সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার বেহাল দশা। উল্টে যাচ্ছে অটো রিকশা, উল্টে যাচ্ছে টোটো। মানুষকে তার জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কর্তব্যরত ট্রাফিক গাড়ি ঘুরিয়ে সরু গলি দিয়ে বের করে দিচ্ছে ছোট গাড়িগুলিকে। এলাকার মানুষ এর রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা।
আরও পড়ুন- ফের প্রাতঃভ্রমণণে বেরিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ
তারা প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছে। এমনটা তাদের কথাতেই পরিস্কার। সাধারণ মানুষ পরিষ্কার বলছেন, “আমরা বুঝতে পারছি যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে কিন্তু কিছু করার নেই। ব্যারাকপুর স্টেশন এর দিক থেকে কাঁচরাপাড়া, বারাসাত যাওয়ার আর কোনো রাস্তা সেভাবে নেই। এ প্রসঙ্গে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বললেন, “আমার সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে টাকা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু রাজ্য সরকার নেয়নি।”
অপরদিকে, বারাকপুর পৌরসভার পুরপ্রধান উত্তম দাস বলেন, “তিনি নিজেও ভুক্তভোগী কারণ তাকে ওই পথ দিয়ে যেতে হয়। এখন তিনি ঘুরে যান যত শীঘ্র সম্ভব রাস্তার মেরামত করা হবে।” জানা যাচ্ছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এলাকার মানুষ হাল প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। কবে মানুষ এই জল যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পাবে সেই দিকে তাকিয়ে এলাকার দূর্ভোগ পোহানো মানুষগুলো। দীর্ঘদিন ধরে