পূর্ব মেদিনীপুর- ১৫ দিনের অন্তর্ধান শেষে অবশেষে নবযৌবনে আবির্ভূত হলেন জগন্নাথদেব। বৃহস্পতিবার সকালে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে খুলে গেল গর্ভগৃহের দ্বার। ভক্তরা কেঁপে উঠলেন আবেগে, যেন নবচেতনার স্পর্শ পেলেন প্রভুর এক ঝলক পেয়ে।
এই প্রথমবার দিঘায় আয়োজিত হতে চলেছে জগন্নাথের রথযাত্রা। দেশ-বিদেশ থেকে আগত অসংখ্য ভক্ত দিঘার এই নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরে সমবেত হয়েছেন। প্রভুর স্নানযাত্রা হয়েছিল ১১ জুন, যেখানে গঙ্গাজল, দুধ, সুগন্ধি ও বিভিন্ন তীর্থের জল দিয়ে ধৌত করা হয় জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রাকে।
স্নান শেষে নিয়মমাফিক চলে ১৫ দিনের গর্ভগৃহ বন্ধ থাকার পালা — “অঙ্গরাগ”। প্রভু ‘জ্বরে’ আক্রান্ত হন, চলে কবিরাজের পাঁচন, লেপ-কম্বল মোড়ানো সেবা। সেই সময়কার অন্তরাল শেষে আসে “নবযৌবন উৎসব”। বৃহস্পতিবার সেই বিশেষ দিন।
সকালে মঙ্গল আরতি, দাঁতন, স্নান, প্রাতঃরাশ— সব রীতি মেনে পালিত হয়েছে। ভক্তদের জন্য প্রবেশের দরজা খোলা হয় মূল গেট দিয়ে, আর তাঁরা বের হন ৬ নম্বর গেট দিয়ে। বিকেলে আয়োজন রয়েছে রশি পুজোর। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। জগন্নাথের জন্য ইসকনের পুরোহিতরা প্রস্তুত করেছেন ৫৬ ভোগ।
শুক্রবার প্রভু রথে চড়ে যাবেন মাসির বাড়ি — শুরু হবে সেই বহুল প্রতীক্ষিত রথযাত্রা।
