দীর্ঘ ৭ বছরের লড়াই-এর অবসান, ফাঁসি হল নির্ভয়া গণধর্ষণকরি চারজন দুষ্কৃতীদের

দীর্ঘ ৭ বছরের লড়াই-এর অবসান, ফাঁসি হল নির্ভয়া গণধর্ষণকরি চারজন দুষ্কৃতীদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

২০ মার্চ, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় অবশেষে তিহার জেলে ফাঁসি হল নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া চারজনের।দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল আজ।নির্ভয়ার মায়ের দীর্ঘ দিনের এই লড়াই শেষপর্যন্ত শাস্তি দিল অপরাধীদের।হয়তো শেষপর্যন্ত শান্তি পেল নির্ভয়ার আত্মা।৭ বছর ৩ মাস পর অবশেষে নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের তিহার জেলে ফাঁসির সাজা কার্যকর। রাতভর সুপ্রিম কোর্টে নানান নাটক চলার পর অবশেষে সব আইনি দরজা বন্ধ হয় দোষীদের সামনে।ঠিক ভোর ৫.৩০ মিনিটে নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৪ ধর্ষক মুকেশ সিংহ, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুরের ফাঁসি দেওয়া হয়। ফাঁসি দেওয়ার আধ ঘন্টা পর তাদের দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির রাজপথে ২৩ বছর বয়সী এক প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করে রাজপথে ছুঁড়ে ফেলে দেয় মোট ৬ জন দুষ্কৃতি। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগার থেকে ৩ বছর পরে ছাড়া পেয়ে যায়। আরেক অভিযুক্ত রাম সিং, যে জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আইনি কারুকার্য চলে। কিন্তু যতবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিছু না কিছু ভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়, শেষমেশ আজ সেই শাস্তি কার্যকর হয়।

ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল। নিয়ম অনুযায়ী, ফাঁসুড়ের পারিশ্রমিক দিয়েছে দিল্লি সরকার। এক্ষেত্রে ফাঁসুড়েকে আনা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ থেকে।সুপারের নির্দেশে সাজা কার্যকর করেন ফাঁসুড়ে। ফাঁসি দেওয়ার পর আধঘণ্টা তাদের দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার দেহ পরীক্ষা করে তাদের মৃত বলে জানিয়ে দেন। শেষে মৃত সকল ব্যক্তিদের নিজ ধর্ম অনুযায়ী সৎকার করা হয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top