দুই মাঠের দুই পাশে দুই দেবীশক্তির আরাধনায় জোড়া প্রস্তুতি তুঙ্গে

দুই মাঠের দুই পাশে দুই দেবীশক্তির আরাধনায় জোড়া প্রস্তুতি তুঙ্গে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

দুই মাঠের দুই পাশে দুই দেবীশক্তির আরাধনায় জোড়া প্রস্তুতি তুঙ্গে। পাশাপাশি দুই মাঠ, দুই মাঠেই গড়ে উঠছে বাঁশের তৈরী অস্থায়ী ইমারত। মাঠের দুই পাশে দুই দেবীশক্তির আরাধনার জোড়া প্রস্তুতি তুঙ্গে জলপাইগুড়ির অরবিন্দনগর উত্তরপল্লী সর্বজনীন দুর্গা ও শ্যামাপুজো কমিটির। এবছর তাদের পুজো পদার্পণ করছে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে। নজরকাড়া শ্যামাপুজো করে প্রতিবারই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে উত্তরপল্লী সার্বজনীন। শ্যামাপুজোর পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় মহালয়ার বহু আগে থেকেই।

 

এবছর অর্ধশতবর্ষে বিগ বাজেটের দুর্গাপুজোরও আয়োজন করছেন উদ্যোক্তারা। দুই পুজো মিলিয়ে এবার তাদের বাজেট বিশ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কলকাতার কুমোরটুলি থেকে লরিতে করে সপরিবারে আসছেন মা দুর্গা। আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন উদ্যোক্তাদের একাংশ। কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র কিশোর ভট্টাচার্য ও চার সম্পাদক রাজীব আচার্য, সমরজিৎ ঘোষ, অরিন্দম চক্রবর্তী ও দিব্যেন্দু বিশ্বাসরা জানান, এবছর দুর্গাপুজোয় কাল্পনিক থিমের মন্ডপ হবে।

আরও পড়ুন – পাকা রাস্তা নির্মাণের বোর্ড থাকলেও আদৌতে তৈরী হয়নি রাস্তা, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

বৃষ্টির কারণে দিনকয়েক মন্ডপ তৈরির কাজ ব্যাহত হলেও ঠিক সময়েই কাজ শেষ হবে। পাশাপাশি তারা আরও জানান, পুজোর মরশুমে পুজো কমিটির তরফে বস্ত্রদান, কম্বলদান সহ একাধিক সমাজসেবা মূলক কাজ করা হয়ে থাকে। করোনা কালে একাধিক বনবস্তিতে খাদ্যসামগ্রী বিলি করেছেন তারা।সদর শহরে রান্না করা খাবার তারা বিলি করেছেন দুঃস্থদের মাঝে। বছরভর সামাজিক কাজ করে চলেন বলে দাবি আয়োজকদের। সম্পাদক সমরজিৎ ঘোষ আরও বলেন, পাড়ার সকলেই সাধ্যমতো সহায়তা করেন পুজো সফল করতে।

 

দুর্গাপুজোয় শোভাযাত্রা করা না হলেও শ্যামাপুজোয় তারা শোভাযাত্রা করে মায়ের প্রতিমা মন্ডপে আনবেন। মায়াপুরের নতুন ইস্কন মন্দিরের ধাঁচে এবছর শ্যামাপুজোর মন্ডপ তৈরির করছেন। প্রতিবার পুজোর মাসকয়েক আগে বৈঠক করে একটি কমিটি গড়ে দুই পুজোর দায়িত্ব ভাগ করে নেন তারা। তিনি আরও বলেন, এবারের পুজোয় চন্দননগরের আলোকসজ্জা থাকবে। মন্ডপসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন মাথাভাঙার এক ডেকোরেটর। ভুবন ভট্টাচার্য, সুপ্রিয় রায়ের মতো প্রবীণ ও নবীন প্রজন্মের সদস্যরা একইসাথে হাতে হাত মিলিয়ে পুজো প্রস্তুতির কাজে তদারকি করছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top