দু’বছর পর ফের রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসবে মেতে উঠলেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। করোনা মহামারির কারনে প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ ছিল বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠান। কেবল রীতি মেনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠান পালন করেছিল বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। তবে এবছর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা আগের মতোই সমস্ত নিয়ম পালন করে মেতে উঠেছেন রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসবে। সোমবার ভোর ৫ টার সময় বৈতালিক-এর আয়োজন করা হয় গৌড় প্রাঙ্গণে।
৬ টা বাজতেই রবীন্দ্র ভবন থেকে শোনা যায় কবির কণ্ঠ, বাজতে থাকে সুন্দর গান। ঠিক ৭ টায় শুরু হয় উপাসনাগৃহে উপাসনা। তারপর মাধবীবিতানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে। কথিত আছে, বিশ্বভারতীতে দু’দিন পালন হয় কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী। ১৯১০ সালে প্রথম বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন শুরু হয়েছিল, তখন কবিগুরু জীবিত ছিলেন। ঠিক তার পরের বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বেশ জাঁকজমকের পালন করা হয়েছিল কবিগুরুর ৫০তম জন্মবর্ষ।
কবিগুরু জীবিত থাকাকালীন নিয়মে একটু পরিবর্তন করেছিলেন, যেহেতু ২৫শে বৈশাখের সময় গ্রীষ্মের দাবদাহ তীব্র থাকে, তাই তিনি ঠিক করেছিলেন বৈশাখ মাসের ১ তারিখে পালন করা হবে রবীন্দ্র জয়ন্তী। সেই রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর রবীন্দ্রজয়ন্তী বিশ্বভারতীতে বৈশাখ মাসের ১ তারিখে পালন করা হত। কিন্তু সুজিত বসু যখন উপাচার্য ছিলেন তখন তিনি বৈশাখ মাসের দুটি দিনে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা শুরু করেন অর্থাৎ ১লা বৈশাখ অনুষ্ঠান হয় আবার ২৫শে বৈশাখও বিশ্বভারতীতে জাঁকজমক সহকারে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়। দু’বছর পর