দুর্গম মানিক নগর গ্রামের দুঃখ দুর্দশা মোচনে পাশে দাঁড়ালেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। শান্তিপুর থেকে টানা ২ঘন্টার সড়ক পথ পেরিয়ে যাওয়া যায় হিজুলি মুসলিম পাড়া গঙ্গা ঘাট। তার পর সেটা পার হলেই দেখা মেলে মানিক নগর গ্রামের।এ গ্রাম পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত।কিন্তু প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রিত হয় সুদূর ১৩ কিলোমিটার দূরের ফুলিয়া ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিস থেকেই। এর পঞ্চায়েত গয়েশপুর যেতে গেলেও নদীপথ পেরিয়ে প্রায় ১ঘন্টা লাগে।মোটমাট খুবই দুর্গম। এসব গ্রামের অধিবাসীদের বার্ধক্য, প্রতিবন্ধী, বিধবা ভাতা বা অন্য যেকোনো সরকারি পরিষেবা পেতে সারাদিনের সব কাজ ফেলে ছুটতে হয়। এছাড়া, সূত্রের খবরে জানা গেছে যে বর্ষার সময় নদীবক্ষে নানান সমস্যা দেখা দেয়।
তবে ইদানিং স্কুল কলেজে পড়াশোনা এবং চিকিৎসার ব্যাপারে কালনা এবং ধাত্রীগ্রামকেই বেছে নিয়েছেন তারা বলে জানা গেছে।এদিকে, ভোটার কার্ড আধার কার্ড পরিচয় পত্র শান্তিপুরের হওয়ার কারণে বেশিরভাগ কাজের ক্ষেত্রেই হাজারো প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন তারা। প্রকল্পগুলি থেকেও বঞ্চিত হন অনেকসময়ই।এইসব নিয়ে এলাকাবাসী বহুদিন ধরে অভিযোগ জানিয়েছেন যেন তাদের বর্ধমান জেলার অন্তর্ভুক্ত করানো হয়। বিষয়টি নিয়ে দুই জেলার প্রশাসন এবং প্রাক্তন বিধায়কদের কাছে আবেদনপত্র পর্যন্ত জমা দেওয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।
আর ও পড়ুন টাকি রোডে নজরে সিসিটিভি, নাকা চেকিংয়ে গাঁজা ফেনসিডিল আটক
কিন্তু এদের কাছে জন নেতারা সবাই পৌঁছন শুধু ভোটের আগে। সেখানে সব দলের প্রার্থী সেখানে পৌঁছন কিন্তু ভোটের পরে আর কারোর দেখা মেলে না। তবে এদিক থেকে ব্যাতিক্রম শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী।কারণ,তিনি জয়লাভের পর মনস্থির করেন যে দিনের পুরো সময় কাটাবেন এই এলাকার মানুষজনের সাথে।তাদের কথা,দুঃখ-দুর্দশা এবং নানা সমস্যার কথা শুনবেন।
আর সে কথার খেলাপ তিনি করেন নি।স্থানীয় মানিকনগর ফেরিঘাটে রাস্তার উদ্বোধন করেছেন তিনি এবং ঘুরে দেখেছেন মানিকনগর মুসলিম পাড়ার বেহাল রাস্তার অবস্থা। এছাড়াও, সূত্রের খবরে জানা গেছে তিনি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীদের সাথে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন একটি উচ্চ বাতিস্তম্ভ এবং ৫০ মিটারের কিছুটা রাস্তা তিনি যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তুত করার জন্য চেষ্টা চালাবেন। দুর্গম