ওফবিট- দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এই সময়ে বাঙালিরা সাধারণত ঘুরতে বেরোন, বিশেষত পাহাড়ি গন্তব্যগুলির মধ্যে দার্জিলিং ও গ্যাংটক সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে পুজোর সময় সেখানে প্রচণ্ড ভিড় হয়, ফলে শেষ মুহূর্তে হোটেল বুকিং মুশকিল হয়ে পড়ে। বাজেটের মধ্যে ঘুরে আসতে চাইলে এবং ভিড় এড়িয়ে শান্ত পরিবেশে কয়েকটা দিন কাটাতে চাইলে দার্জিলিং জেলার ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম রিম্বিক হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।
দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রিম্বিক, যা দার্জিলিংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেকিং রুটের গেটওয়ে হিসেবে পরিচিত। ইন্দো-নেপাল সীমান্তের কাছেই অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রামটি সবুজে ঘেরা এবং প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরপুর। শীতকালে রিম্বিকের আবহাওয়া খানিকটা রুক্ষ থাকলেও এই সময় পাহাড় ফুলে সেজে ওঠে, যা একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
গ্রামটি হেঁটে ঘুরে দেখার জন্য একেবারেই উপযুক্ত। গ্রামের মধ্যে রয়েছে বড় বাজার, যেখানে মোমোর দোকান, বেকারি এবং অন্যান্য খাবারের দোকান সহজেই পাওয়া যায়। রিম্বিক মনেস্ট্রি দর্শনার্থীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ। এখান থেকে কাছাকাছি শ্রীখোলা ঘুরে আসা যায়; শ্রীখোলা পর্যন্ত গাড়ি যাবে, সেখান থেকে পায়ে হেঁটে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও রিম্বিক থেকে সহজেই ঘুরে নেওয়া যায় ধোত্রে, গুরদুং ও মানেভঞ্জন।
কীভাবে যাবেন:
রিম্বিকে যাওয়ার সেরা সময় অক্টোবর থেকে মে মাসের মধ্যে। নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) থেকে রিম্বিকের দূরত্ব প্রায় ১৩২ কিলোমিটার। এনজিপি থেকে সহজেই শেয়ার গাড়ি পাওয়া যায়, প্রতি জনের খরচ প্রায় ₹৭০০। সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। চাইলে রিজার্ভ গাড়িও নেওয়া যায়, তবে তার খরচ ₹৪,০০০ থেকে ₹৫,০০০।
থাকার ব্যবস্থা:
রিম্বিকে বিভিন্ন আরামদায়ক হোমস্টে রয়েছে। যারা দার্জিলিং ঘুরতে গিয়ে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে চান, তারা রিম্বিকের হোমস্টেতে থাকতে পারেন। এখানে থাকার খরচ তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী এবং স্থানীয় আতিথেয়তাও অসাধারণ।
যারা পুজোর ছুটিতে পাহাড়ে যেতে চান কিন্তু দার্জিলিং বা গ্যাংটকের ভিড় এড়িয়ে শান্ত প্রকৃতির কোলে কয়েকটা দিন কাটাতে চান, তাদের জন্য রিম্বিক হতে পারে নিখুঁত গন্তব্য।
