কলকাতা – দুর্গাপুজোর আনন্দে শামিল হয়েই বাংলায় আরও বড় বিনিয়োগের বার্তা দিলেন জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল। দশমীর দিনে নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘের পুজোমণ্ডপে পুজো দেখতে এসে শিল্পপতি স্পষ্ট জানান, বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে করা প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করার পাশাপাশি নতুন লগ্নিতেও তিনি আগ্রহী। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গাপুর বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণেও বড় অঙ্কের বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে জেএসডব্লিউ গ্রুপের।
সুরুচি সংঘের থিম ‘আহুতি’-র মণ্ডপ ঘুরে দেখেন সজ্জন জিন্দাল ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মদানকে কেন্দ্র করে সাজানো এই থিম তাঁদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জিন্দাল প্রথমেই জানান, “শুভ বিজয়া।” তারপর বলেন, মুম্বইয়ের গণপতি উৎসবের সঙ্গে পরিচিত থাকলেও বাংলার দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার। ইউনেসকোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়াটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। স্ত্রী সঙ্গীতাও জানান, বাংলার শিল্পী ও কিউরেটরদের কল্পনা ও সৃজনশীলতা অনন্য, যা শেখার মতো।
শালবনির বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত এপ্রিলেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলান্যাস করেছিলেন সেই প্রকল্পের, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সেই অনুষ্ঠানে জিন্দাল বলেছিলেন, গত দশ বছরে বাংলার বিরাট উন্নতি হয়েছে, আর তার কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীর। শালবনিতে তৈরি হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি কৃষকদের হওয়ায় তাঁদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়েও আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার একর জমিতে একটি শিল্পপার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনাও চলছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে প্রথম দিনেই ১৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন সজ্জন জিন্দাল। মাত্র তিন মাসের মধ্যে সেই প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুর বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যেও বড় বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এই বিনিয়োগ দুর্গাপুরের উন্নয়নে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে। দুর্গাপুজোর আবহেই সজ্জন জিন্দাল বুঝিয়ে দিলেন, বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগ নিয়ে তাঁর অঙ্গীকার কতটা দৃঢ়।
