প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই নদিয়ার শান্তিপুরের সম্পন্ন হলো বহু প্রাচীন ঐতিহ্য ব্রহ্মার জলসাধা। খুব কম সংখ্যক ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর পুজো রাজ্যে লক্ষ্য করা যায়। তবে পুজো উপলক্ষে সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্দেশ্যে এক আকর্ষণীয় শোভাযাত্রা একমাত্র লক্ষ্য করা যায় নদীয়ার শান্তিপুরে। প্রবীনদের কাছ থেকে জানা যায় প্রায় ৪০০ বছরের পুরাতন এই শোভাযাত্রা। শোনা যায় সে সময় বড়বাজার অঞ্চলে বেশকিছু ধনী পাটের ব্যবসায়ীদের গুদাম ঘর ছিলো। যা প্রাইশই আগুন ধরে যেতো। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ব্রহ্মা পুজোর প্রচলন হয় সেই থেকে।
ময়ূরপঙ্খী গান, রেড়ির তেলের প্রদীপের আলো, কীর্তন দল সহযোগে শান্তিপুর তথা নদিয়া বাসিকে আমন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মার জলসাধা শোভাযাত্রা দেখতে ভাঙ্গা রাসেরর শোভাযাত্রা দেখার মতনই প্রতীক্ষায় থাকতো শান্তিপুর বাসী। গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ম রক্ষায় শুধুমাত্র এটুকুই হয়েছিলো। এবছর আবারও পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখে গতকাল সন্ধ্যায় শান্তিপুরের রাজপথে দেখা গেল সেই দৃশ্য। রম্য রচনা করেছেন শ্যামল বসাক ময়ূরপঙ্খী গানে ছিলেন প্রভাত বসাক এবং নারদের ভূমিকায় দীপক দেবনাথ।
আরও পড়ুন – বেঙ্গল সাফারির মুকুটে জুড়ছে আরও এক নয়া পালক
ব্যান্ডপার্টি বাজনা, চরবড়ি বাজনা, কূলো ডালা নিয়ে জলসা নারীবেসে পুরুষ, ময়ূরপঙ্খী গান নাচ এবং তার সাথে ঢোলক বাজনা, গরুর গাড়ির উপর থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে নারদের রম্য বার্তা এসবের সাথে এবারের নতুন সংযোজন নৌকা নাচ। সন্ধ্যে সাতটা থেকে শুরু হয়ে শহরের মূল শোভাযাত্রা রাস্তায় ১২ টি স্থানে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপিত করা হয়। তবে মাঝখানে কিছুক্ষণ বাধ সেধেছিলো, বৃষ্টি। বড়বাজার ব্যবসায়ী কমিটির পক্ষ থেকে চিরাচরিতভাবে এই পুজোর এবং শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়ে থাকে। তারা জানান পাঁচ দিন ধরে চলবে এই পূজো। এবারের বিশেষ আকর্ষণ থাকছে পুতুল নাঁচ। দুর্যোগকে