দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগে সাংসদ শতাব্দী রায়। বুধবার পুনরায় শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ঘুরে দেখলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়। পাশাপাশি এদিন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সমস্যা নিয়ে আশা সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। অপরদিকে ক্যাম্পে আশা সাধারণ মানুষদের কাছে জানতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকারের মধ্য দিয়ে যেভাবে সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন তাতে তারা মতামত জানতে চান সাংসদ শতাব্দী রায়।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মাধ্যমে সাধারন মানুষ কতটা উপকৃত হচ্ছেন সেই বিষয়ে মানুষের রায় নেন সাংসদ। এদিন ক্যাম্পে আসা বিভিন্ন গ্রামবাসীরা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে দুয়ারে সরকার নামক প্রকল্পটি যে চালু করেছে তাতে তারা অত্যন্ত উপকৃত। দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ মানুষকে চলতে গেলে যে গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো দরকার হয় সেগুলো কোন কারনে যদি ত্রুটিযুক্ত হয় তাহলে এই দুয়ারে সরকারের মধ্য দিয়ে সেই ভুল ভ্রান্তি থাকা নথি সহজেই ঠিক করে নেওয়া সম্ভব হয় বলে মত সাধারণ মানুষদের। যেমন রেশন কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম তোলা, এবার থেকে নতুন সংযোজন হয়েছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল এককালীন ৫০শতাংশ ছাড়ে পূর্ণ মিটিয়ে দেওয়া যাবে।
মনি টুড, খোকন বাগদি, হরে রাম দাসেদের মতো একাধিক গ্রামবাসীদের দাবি করে বলেন,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পের জন্য তারা অনেক সুবিধা পেয়েছেন। এদিন মোহাম্মদবাজার ব্লকের চড়িচা পঞ্চায়েতের দুয়ারের সরকারের ক্যাম্প ঘুরে দেখার পর সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, গুজরাটে সেতু ভেঙে যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১৩৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে সেটা নিয়ে আগে শুভেন্দু অধিকারী জবাব দিক, তারপর দুয়ারে সরকারের খরচা কোথা থেকে আসছে সেটা নিয়ে তিনি মাথা ঘামাবেন নাকি আদালতে যাবেন সেটা পরের বিষয়। বাংলায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে সমালোচনা করে ঠিক সেইভাবেই গুজরাটের মানুষের মৃত্যু মিছিল নিয়ে সমালোচনা করুক তারপর বাংলা নিয়ে মন্তব্য করবেন বলে কটাক্ষ্য করেন সাংসদ শতাব্দী রায়।