দূর্গাপুজো নির্বিঘ্নে করতে তৎপর আসানসোল-দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। শারদ উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে কাটে তার জন্য তৎপর পুলিশ প্রশাসন। তাই, নিরাপত্তার দিকটা বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম রয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তা। পুজো ক’টা দিন যাতে কোন সমস্যা না হয়, তার জন্য তৎপর রয়েছে আসানসোল-দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আসানসোল শহর তথা শহরের আশপাশের এলাকায়।
এই প্রসঙ্গে আসানসোল-দূর্গাপুর পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিক বলেন, শহরে নতুন করে ৭০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়াও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছে ‘নাইট ভিশন’ ক্যামেরা। এই ক্যামেরা দিয়ে পুজোর দিনগুলোতে রাতে, বিশেষ নজর রাখা হবে। এছাড়াও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে শক্তি বাহিনীর সদস্যরা। থাকছে মহিলা কমব্যাট ফোর্স। তিনি বলেন, পুজোর দিনগুলোতে ‘ইভটিজিং’ রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নামানো হবে আলাদা বাহিনী।
যারা সাদা পোষাকে থাকবে। এর পাশাপাশি আসানসোল শহরের জিটি রোড ও অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। যান চলাচল বা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ একবারে পরিকল্পনা মতো করা হবে। যাতে রাস্তায় বেরিয়ে সাধারণ মানুষেরা কোন সমস্যায় না পড়েন, তা দেখা হবে। অন্যদিকে, আসানসোল রেল পুলিশ, তাঁরাও দূর্গাপুজোকে সামনে রেখে রাস্তায় নেমেছেন। আসানসোল রেল স্টেশনে শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। পাশাপাশি নজরদারি রয়েছে চলাচল করা সব ট্রেনে। এদিন রেল পুলিশের আধিকারিকের নেতৃত্বে ‘এ্যান্টি সাবোতাজ টিম’ আসানসোল স্টেশনে সব প্ল্যাটফর্মে তল্লাশি চালায়। একইভাবে তল্লাশি চলে বিভিন্ন ট্রেনেও। তাদের সঙ্গে ছিলো ‘হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর’।
আরও পড়ুন – মহালয়ায় তর্পণে ভিড় ফরাক্কার গান্ধি ঘাটে
তারা বিভিন্ন যাত্রীর ব্যাগ পরীক্ষা করেন। রেল পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, দূর্গাপুজো সামনেই। তারপর লক্ষীপুজো। সবার শেষে কালি পুজো, দীপাবলি ও ভাইফোঁটা। এইসময় ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে যাত্রী বা সাধারণ মানুষের যাতায়াত বাড়ে। তাই এখন থেকেই শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। তল্লাশিতে মদ সহ বিভিন্ন আপত্তিকর জিনিস যাত্রীর কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উৎসব মরশুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নজরদারি ও তল্লাশি চলবে বলে তিনি জানান। দূর্গাপুজো নির্বিঘ্নে