দেওয়াল কেটে ব্যাঙ্কে চুরি, এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য, উঠছে একাধিক প্রশ্ন। পুজোর মাঝেই ফের ব্যাংকে চুরি! এই নিয়ে পর পর তিনবার চুরি। ব্যাংক কর্মীদের যোগসাজস রয়েছে কিনা উঠছে প্রশ্ন। তদন্তে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। সোমবার ব্যাংক খুলতেই চক্ষু চরক গাছ ব্যাঙ্ক কর্মীদের। দেওয়ালের ইট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাংকের লকার ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের সজনা পাড়া এলাকায়।
প্রশ্ন উঠছে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির একটি সিএসপি সেন্টারে দায়িত্বে থাকা অধিকারীদের ভূমিকা নিয়ে। এই নিয়ে তিন তিন বার চুরি। এর আগেও দু-বার চুরির ঘটনার থেকেও শিক্ষা নেয়নি ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ। কেনই বা ব্যাঙ্কের অন্যান্য জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বাসালোও ক্যাশ লকারের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়নি উঠছে প্রশ্ন। পেছন থেকেও বারংবার চুরি হওয়া সত্বেও কেন হুস ফেরেনি কর্তপক্ষের। তাহলে কি ব্যাঙ্ক কর্মীদের একাংশের যোগসাজস রয়েছে এই চুরির ঘটনার পেছনে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ বলা সত্বেও কেনো সিসিটিভি লাগালো না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সজনা পাড়া এলাকার সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির একটি সিএসপি সেন্টারে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে, ঘটনায় ৪৯৯৮৪/- টাকা খোয়া যায় বলেই জানিয়েছে দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার কাশীরাম রায়। ব্যাঙ্কের চুড়ির ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে যখন ব্যাঙ্ক খুলতে যায় আধিকারিকেরা তখন দেখেন ওয়াল কেটে ব্যাঙ্কের জিনিস পত্র ভিতরে লন্ড ভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপর এই ঘটনা জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ধূপগুড়ি থানার আই.সি সুজয় তুঙ্গা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন গ্রামীণ পুলিশ সুপার ওয়াংডেং ভুটিয়া।ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ ধূপগুড়ি থানার আইসি নিজের সরজমিনে খতিয়ে দেখেন। তবে ব্যাঙ্কের পেছন দিকে যেই ঘরে চুরি হয়েছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার কারণে চুরির কোনো রকম ফুটেজ ক্যামেরাবন্দি হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশের অনুমান, গতকাল দিনভর বৃষ্টি আর সেই সুযোগে দুষ্কৃতিরা তান্ডব চালায়।
আরও পড়ুন – তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পশু প্রেম নজর কাড়ছে এলাকাবাসীর
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এর আগেই পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে হার্ডডিস্ক নিরাপদ স্থানে বসিয়ে ভালো ভাবে লক করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলো ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষকে। ব্যাংক কর্মীরা সেই নির্দেশ অমান্য করার ফলেই চুরির কিনারা করতে পুলিশকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। ধূপগুড়ি থানার পুলিস সূত্রে খবর, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।