দিল্লি – মাত্র পাঁচ মিনিট দেরিতে স্কুলে পৌঁছনোর ‘অপরাধে’ ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের চার ছাত্রীকে ২০০ বার উঠবস করানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। চরম শারীরিক শাস্তির ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে, বমি করতে থাকে এবং একে একে জ্ঞান হারায়। পরে সবাইকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে চারজনই জামশেদপুরের এমজিএম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকই দেরিতে আসার জন্য এই শাস্তি দেন। প্রথমে ছাত্রীদের পটমদার মাচা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে এমজিএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। জেলা শিক্ষা আধিকারিক মনোজ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং দোষী শিক্ষককে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
ঘটনার পর হাসপাতালে ছাত্রীদের দেখতে যান ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক মঙ্গল কালিন্দি। তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন উপোস করছিল কারণ দিনটি শ্রাবণ মাসের সোমবার ছিল। তিনি মন্তব্য করেন, এ ধরনের শারীরিক শাস্তি চরম নিষ্ঠুরতা এবং শিক্ষার পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা অতীতে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য প্রশংসা পেয়েছিল। সেই ছাত্রীরাই আজ শিক্ষার মন্দিরে চরম অবমাননার শিকার হওয়ায় সমগ্র রাজ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
