দেশের এই শোচনীয় পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ালেন এক ইসিএল কর্মী

দেশের এই শোচনীয় পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ালেন এক ইসিএল কর্মী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম বর্ধমান, ৬ এপ্রিল, লক ডাউন পরিস্থিতিতে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ালো এক ইসিএল কর্মী। পাশাপাশি ৭ জন সাংবাদিকদের হাতেও ২৫ কেজি করে চাল তুলে দিলেন ও ইসিএল কর্মী। পান্ডবেশ্বর থানার সোনপুর গ্রামের ঝন্টু রানা নামে এক ইসিএল কর্মী এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের ১৬০০ গরিব মানুষের হাতে চাল, ডাল, আলু,সোয়াবিন ও সাবান তুলে দিলেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিলে এক মাসের বেতন ও মুখ্যমন্ত্রী ত্রান তহবিলে মাসের অর্ধেক বেতন অনুদান দিলেন। এবং পান্ডবেশ্বর থানার সিভিক পুলিশ কর্মীদের জন্য ৫ হাজার টাকার মাস্ক ও সেনেটাইজার দেওয়ার কথা ঘোষনা করলেন।

ঝন্টু বাবু বলেন, এই লক ডাউন পরিস্থিতিতে সোনপুর বাজার এলাকার সোনপুর গ্রাম, আদিবাসী পাড়া, বাজারি, বনবহাল, ভাটমৌড়া হরিপুর, গায়ঘাটা, ঝাঁটিডাঙা, ছড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ১৬০০ গরিব মানুষের হাতে চাল, ডাল, আলু,সোয়াবিন ও সাবান তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিলে ৩৬৯২০টাকা ও ১৮৪৬০ টাকা মুখ্যমন্ত্রী ত্রান তহবিলে অনুদান দিলাম। তিনি বলেন, এই এলাকার যে সব বাড়িতে রোজগারের জন্য কোনো পুরুষ নেই মহিলাদেরই উপর ভরসা,সেই সব পরিবারকে যত দিন লক ডাউন থাকবে ততদিন দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করব। ঝন্টু বাবু বলেন, করোনা মোকাবিলায় ডাক্তার, নার্স, পুলিশ যে ভাবে কাজ করছে তাতে তাদের কাজের কোনো মূল্যায়ন করা যাবে না। ঠিক সাংবাদিকদের ভুমিকাও কোনো অংশেই কম নই বলে জানান তিনি। তাই সাংবাদিকদের পরিবারের কথা ভেবে এই অনুষ্ঠানে আসা ৭ জন সাংবাদিকদের হাতে ২৫ কেজি করে চাল তুলে দেওয়া হল। তিনি বলেন, এই দুঃসময়ে নিজের গ্রাম ও আশপাশের বেশ কিছু এলাকার অভাবি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজে খুবই গর্ব বোধ করছি। তিনি বলেন, আমকে এই কাজের জন্য সোনপুর প্রিয়জন সমিতির সদস্যরা খুবই সহযোগিতা করেছে। তাদের সবাইকে অন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি সবাইকে নিজের স্বার্থে ও দেশের স্বার্থে লকডাউন মেনে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেন। বিশেষ প্রয়োজনে বেরোতে হলেও নিজেদের মধ্যে দুরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top