খেলা – রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় ভরা এক ঐতিহাসিক ইউরো ফাইনাল ম্যাচে অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তরুণ স্প্যানিশ সেনসেশন লামিনে ইয়ামালের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরল পর্তুগাল। রোনাল্ডোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে, আর গোলরক্ষক দিয়েগো কস্টার দুর্দান্ত সেভে নিশ্চিত হয় পর্তুগালের জয়। দুইবার পিছিয়ে পড়েও হার না মানা মানসিকতা দেখিয়ে ইউরো ট্রফি ছিনিয়ে নেয় আগেরবারের রানার্স-আপ পর্তুগিজরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে দেখা যায় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে জোয়াও নেভেসের নেওয়া কর্নার থেকে শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। স্পেনের নিকো উইলিয়ামস ও লামিনে ইয়ামাল বল পেলেই চারপাশ থেকে চেপে ধরছিলেন পর্তুগাল রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। তবে বাঁ-দিক থেকে কুকুরেলা বল পেলেই পর্তুগিজ ডিফেন্সে দেখা যাচ্ছিল কিছুটা উদ্বেগ। জোয়াও নেভেস ও তাঁর সতীর্থদের টানা প্রেসিং ফুটবলে স্পেনও পড়ছিল চাপে। দুই দলের রক্ষণ ও মাঝমাঠের সংঘাতে বোঝা যাচ্ছিল, গোল আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে ম্যাচের গতি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে শুরু করে। বার্নার্দো সিলভা ও তাঁর সতীর্থদের খেলায় কিছুটা মন্থরতা দেখা যায়, যার ফলে পর্তুগিজ ডিফেন্সে বাড়ে চাপ। ম্যাচের ১৫ মিনিটে স্পেনের পেড্রি পেতেন গোলের সোনালী সুযোগ, যদি না তাঁর শট লক্ষ্যে ব্যর্থ হতো। নিকো উইলিয়ামসের নিখুঁত ক্রস থেকে বল পেলেও, শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার। কিছুক্ষণ পরেই উইলিয়ামসের আরেকটি শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ম্যাচে তখন কিছুটা ছন্দ হারায় পর্তুগাল।
অবশেষে ২১তম মিনিটে আসে স্পেনের প্রথম গোল। তরুণ ইয়ামালের পাস পর্তুগিজ ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। সেই সুযোগে জোয়াও নেভেসের ভুলকে কাজে লাগিয়ে মার্টিন জুবিমেন্ডি গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন।
এই উত্তেজনাকর সূচনা আর রোমাঞ্চে ভরা লড়াই শেষ পর্যন্ত রোনাল্ডোর অভিজ্ঞতা ও পর্তুগালের দলগত পারফরম্যান্সের সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় স্পেন। ফুটবল ইতিহাসে আরেকটি দৃষ্টান্ত গড়ে চ্যাম্পিয়নের আসনে বসে পর্তুগাল।
